২০০ কোটি রুপির ভরণ-পোষণ ফিরিয়ে দিলেন সামান্থা, ডিভোর্স সম্পন্ন

২০০ কোটি রুপির ভরণ-পোষণ ফিরিয়ে দিলেন সামান্থা, ডিভোর্স সম্পন্ন

ভারতের দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় দুই তারকা সামান্থা রুথ প্রভু ও নাগা চৈতন্য। অনেক দিন ধরেই গুঞ্জনটি শোনা যাচ্ছিল তারা আলাদা হচ্ছেন। অবশেষে তা-ই সত্যি হলো। ৪ বছরের সংসার জীবনের ইতি টানলেন তারা।

সামান্থা রুথ প্রভু ও নাগা চৈতন্য শনিবার (২ অক্টোবর) একটি যৌথ বিবৃতির মাধ্যমে ডিভোর্সের ঘোষণা দিয়েছেন।

বিবৃতিতে সামান্থা-চৈতন্য বলেছেন, ‘অনেক আলোচনা ও চিন্তাভাবনার পর আমরা স্বামী-স্ত্রী থেকে আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং নিজেদের পথ বেছে নিয়েছি। আমরা খুবই ভাগ্যবান যে, এক দশকের বেশি সময়ের বন্ধুত্ব আমাদের। এটাই আমাদের বন্ধুত্বের প্রাণশক্তি ছিল। আশা করি ভবিষ্যতেও এই বিশেষ বন্ধনটি অটূট থাকবে।’

এছাড়া বন্ধু, শুভাকাঙ্ক্ষী ও ভক্তদের উদ্দেশ্যে তারা বলেছেন, ‘আমরা সবাইকে অনুরোধ করছি, এই কঠিন সময়ে আমাদের সমর্থন দেয়ার জন্য। এবং আমাদের একটু প্রাইভেসি দিন যাতে মানিয়ে নিতে পারি।’

এদিকে ডিভোর্সের খবর সামনে আসতেই নতুন আলোচনা শুরু। বিষয় খোরপোশ অর্থাৎ ভরণ-পোষণ। সামান্থা নাকি ৫০ কোটি রুপি খোরপোশ পেতে পারতেন নাগার থেকে। তবে এখন শোনা যাচ্ছে, ৫০ কোটি নয়, সামান্থাকে দু’শো কোটি রুপির খোরপোশ দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু সামান্থা বিয়ে ভাঙার কারণে নাগার থেকে সেই টাকা নিতে একেবারেই নারাজ।

সামান্থা জানিয়েছেন, নাগার থেকে একটি টাকাও তিনি নেবেন না। সামান্থার ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তি সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘সামান্থা এই সম্পর্কটা থেকে শুধু বন্ধুত্ব এবং ভালবাসা চেয়েছিল। বিয়েটাই ভেঙে গেল। ও একটা টাকাও নেবে না।’

প্রসঙ্গত, দক্ষিণী মেগাস্টার নাগার্জুনার পুত্র নাগা চৈতন্য। ২০০৯ সালে ‘জোশ’ সিনেমার মধ্য দিয়ে তিনি সিনেমায় আত্মপ্রকাশ করেন। অন্যদিকে সামান্থার ক্যারিয়ার শুরু হয় ২০১০ সালের ‘ইয়ে মায়া চেসাভ’ সিনেমা দিয়ে। যেখানে তার নায়ক ছিলেন চৈতন্য।

একসঙ্গে কাজ করতে গিয়েই তাদের মধ্যে ভালোলাগা ও ভালোবাসা সৃষ্টি হয়। সাত বছর প্রেম করার পর ২০১৭ সালের ৬ অক্টোবর ভারতের পর্যটন নগরী গোয়ার একটি রিসোর্টে নজরকাড়া আয়োজনে বিয়ে করেন তারা।

বিনোদন শীর্ষ খবর