প্রতি মুহূর্তে ক্যানসারের সঙ্গে লড়ে যাচ্ছেন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা। কঠিন এই ব্যাধির সঙ্গে লড়াইটা কখনো কখনো কঠিন হয়ে উঠেছে অভিনেত্রীর পক্ষে। তবুও তিনি লড়ছেন হাসিমুখে। তার এই লড়াইয়ে সর্বক্ষণের সঙ্গী বন্ধু, প্রেমিক সব্যসাচী চৌধুরী।
সকলের প্রিয় পর্দার ‘বামাক্ষ্যাপা’ই দুহাতে আগলে রেখেছেন তার ভালোবাসা ঐন্দ্রিলাকে। শুক্রবার ঐন্দ্রিলা ও তার এই লড়াই নিয়ে ফেসবুকে লম্বা পোস্টে নানান কথা সামনে এনেছেন অভিনেতা সব্যসাচী চৌধুরী।
কেমন আছেন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা? একথা তার অনুরাগীরা জানতে চায়। আর তারই উত্তর দিতে ফেসবুকে ঐন্দ্রিলার হেলথ আপডেট দেন সব্যসাচী চৌধুরী। অভিনেতার সেই পোস্টই এবার যেন ধরা পড়ল কিছুটা আশঙ্কার সুর…।
তিনি লিখেছেন, আমি কাউকেই বিশেষ কিছু বলি না, আসলে ভালো আছে বলতে আমার ভয় লাগে। সত্যি বলতে, চোখের সামনে আমি যা দেখেছি এবং নিয়মিত দেখছি, সেটাতে ভালো থাকা বলে না, সেটাকে অস্তিত্বের লড়াই বলে। অবশ্য এইসব খটোমটো কথা কেবলমাত্র আমিই বলি, ওকে যদি কেউ জিজ্ঞাসা করে তাহলে এক গাল হেসে উত্তর দেবে ‘খুব ভালো আছি, আমার রাশিফল ভালো যাচ্ছে।’
সব্যসাচী লিখেছেন, যা বুঝলাম, এই অসুখটার কোনো নিয়মবিচার নেই, ওষুধপত্র সবই আছে অথচ নেই, চিকিৎসার নির্দিষ্ট দিনক্ষণ আছে কিন্তু আরোগ্যের নেই। কথা ছিল সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চিকিৎসা চলবে, ক্রমে সেটা গুটিগুটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ডিসেম্বরে। প্রতিবার যখন ডাক্তার বলেন চিকিৎসার সময় বাড়াতে, ওর মুখটা যন্ত্রনায় কুঁকড়ে যায়। প্রতিবার কেমো নেওয়ার পর কয়েক রাত অসহ্য যন্ত্রনায় ছটফট করে। শুয়ে থাকলে মনে হয়ে বুকে পাথর চেপে বসছে, আবার উঠে বসলে শ্বাস নিতে পারে না। রক্তচাপ মাঝেমধ্যেই ৮০/৪০ এ এসে ঠেকে। খাওয়ার ইচ্ছা এবং স্বাদ চলে যায়। অর্ধেক ফুসফুস বাদ যাওয়াতে সবটাই বড় কঠিন কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। খুব কড়া ডোজের ঘুমের ওষুধ খাইয়ে একপ্রকার অচেতন করে রাখা হয় ওই কয়েকটা দিন।
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছিলেন ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা। সেসময় অদম্য মনের জোরে এই দুরারোগ্য ব্যাধিকে হারিয়ে তিনি জীবনের মূল স্রোতে ফিরে এসেছিলেন। পাঁচ বছর পর জানা যায় ক্যানসার তার পিছু ছাড়েনি। গোপনেই লুকিয়ে ছিল শরীরে।