ঈদের পর আন্দোলনের কথা বললেন খালেদা

গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ঈদের পর আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

রোববার ১৮ দলীয় জোটের নতুন মিত্র লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) এক ইফতার পার্টিতে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

খালেদা জিয়া বলেন, “অন্যায়-জুলুম-অবিচারের হাত থেকে দেশের মানুষকে রক্ষার জন্য আমরা ১৮ দলীয় জোট ঐক্যবদ্ধভাবে ঈদের পর সংগ্রাম শুরু করব। এজন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে।”

গুলশানে দ্য ওয়েস্টি ঢাকা হোটেলে এলডিপি সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল অলি আহমেদের আয়োজনে এই ইফতার পার্টির আয়োজন করা হয়। এতে জোটের শীর্ষ নেতারা অংশ নেন।

গত এপ্রিলে চার দলীয় জোটকে সম্প্রারণ করে নতুন রাজনৈতিক জোট ‘১৮ দলীয় জোট’ গঠন করা হয়।

২০০৬ সালের অক্টোবরে চার দলীয় জোট সরকার ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার আগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির জ্যেষ্ঠ সদস্য অলি আহমেদ, সাবেক স্পিকার রাজ্জাকসহ দলের একডজন নেতা ও সাংসদ নিয়ে নতুন দল এলডিপি গঠন করেন।

বিরোধী দলীয় নেতার সঙ্গে এলডিপি’র সভাপতি অলি আহমেদ, হোসেন, মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ, সভাপতিম-লীর সদস্য অধ্যাপিকা জাহানারা বেগম ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আর এ গনি একই টেবিলে বসে ইফতার করেন।

ইফতারপূর্ব সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে দেশের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেন, “বর্তমানে জুলম-নির্যাতন-অবিচারের বিরুদ্ধে আমরাই বিজয়ী হতে পারব। কারণ গণতন্ত্র পুনর্প্রতিষ্ঠা ও স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে আমরা সফলকাম হয়েছি।”

গণমাধ্যমে স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতনের কথা তুলে ধরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই সরকারের আমলে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা বলতে কিছু নেই। ক্ষমতাসীনদের হাতে সাংবাদিকরা নির্যাতিত হচ্ছে। গত সাড়ে তিন বছরে ১৪ জন সাংবাদিক হত্যা হয়েছে। এর কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি।”

এর আগে অলি আহমেদ স্বাগত বক্তব্যে বলেন, “বর্তমান সরকার দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে ফেলেছে। এদের হাতে দেশ নিরাপদ নয়। তাই এই রোজায় সবাইকে শপথ নিতে হবে- ঈদের পর আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করব।”

ইফতারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজ উদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক মনিরুজ্জামান মিঞা, ১৮ দলীয় জোটের শরিক জামায়াতে ইসলামী নায়েবে আমীর এ কে এম নাজির আহমেদ, সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মজিবুর রহমান, কর্ম পরিষদের সদস্য হামিদুর রহমান আযাদ, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান শেখ শওকত হোসেন নিলু, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির সভাপতি খন্দকার গোলাম মূর্তজা,লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মুস্তাফিজুর রহমান ইরান, ন্যাপ সভাপতি জেবেল রহমান, জামায়াতে ইসলামীর মুসলিম লীগের নির্বাহী সভাপতি এ এইচ এম কামারুজ্জামান খাঁন, পিপলস পার্টির সভাপতি গরীব নেওয়াজ প্রমুখ অংশ নেন।

এছাড়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মাহবুবুর রহমান, আ স ম হান্নান শাহ,আবদুল মঈন খান, কেন্দ্রীয় নেতা এম মোরশেদ খান, রাজিয়া ফয়েজ, সেলিমা রহমান, ড. ওসমান ফারুক, মাহমুদুল হাসান, খন্দকার মাহবুব হোসেন, এ জেড মোহাম্মদ আলী, আবদুল মান্নান, মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, অধ্যাপক এম এ মান্নান, শামসুজ্জামান দুদু, আহমেদ আজম খান, বরকত উল্লাহ বুলু, মোহাম্মদ শাহজাহান, আ ন হ এহছানুল হক মিলন, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, খায়রুল কবির খোকন, আবদুস সালাম, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, শিরিন সুলতানা, সাবেক সাংসদ নাসের রহমান, রাশিদুজ্জামান মিল্লাত, আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়াম প্রমুখ ইফতারে উপস্থিত ছিলেন।

অন্যান্য