গুজরাট দাঙ্গা: দুই বিজেপি নেতাসহ ২১ দোষী সাব্যস্ত

গুজরাট দাঙ্গার দিপদা দরোয়াজা মামলায় সোমবার ২১ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছে একটি বিশেষ আদালত। দাঙ্গায় জড়িত থাকা এবং হত্যা চেষ্টার জন্য তাদের অভিযুক্ত করা হয়েছে। আর এ মামলার অপর ৬১ জন আসামিকে নির্দোষে খালাস দিয়েছে আদালত।

২০০২ সালের সেই ভয়াবহ গোধরা দাঙ্গার পর দিপদা দরোয়াজার দাঙ্গা হয়। এ দাঙ্গায় ১১ জন মুসলমানকে নির্মমভাবে হত্যা করে উগ্রবাদী হিন্দুরা।

তবে মামলায় হত্যা এবং অপরাধ সংঘটন বা এ ধরনের কোনো পরিকল্পনার অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি।

বিশেষ আদালতের বিচারক এসসি শ্রীবাস্তাবা ৬১ জনের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন। তাদের মধ্যে ৫১ জনের অভিযোগ সন্দেহযুক্ত বলে তা খারিজ করা হয়েছে।

একই যুক্তিতে দুই রাজনীতিক বিজেপির তৎকালীন এমএলএ প্রহ্লাদ গোসা এবং বিসনগর পৌরসভার প্রেসিডেন্ট দয়াভাই প্যাটেলকে নির্দোষে খালাস দেওয়া হয়েছে।

অপরদিকে, এ মামলার প্রথম তদন্তকারী পুলিশ ইনসপেক্টর এমকে প্যাটেলকে দায়িত্ব পালনে অবহেলার কারণে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। ২০০২ সালে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার পর এ মামলায় এ-ই প্রথম কোনো পুলিশ কর্মকর্তা অভিযুক্ত হলেন।

জানা গেছে, অশোক পারমান বাদে বাকি অভিযুক্তরা সবাই গুজরাটের প্যাটেল সম্প্রদায়ের লোক।

সোমবার রায় দেওয়া মামলাটি গুজরাট দাঙ্গার নয়টি মামলার মধ্যে পঞ্চম। এসব মামলায় অধিকতর তদন্ত হবে বলে জানা গেছে। ইতোমধ্যে চারটি মামলার রায় হয়েছে।

২০০২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি দাঙ্গার সময় গুজরাটের উত্তরে বিসনগর শহরের দিপদা দরোয়াজা এলাকার চুড়িবাসে হত্যাযজ্ঞ চালানোর জন্য ৮৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছিল।

ওই এলাকায় নিহতের মধ্যে চার শিশু ও পাঁচ নারী ছিল। নিহত শিশুদের মধ্যে এক বছর বয়সী এক শিশুও ছিল। আর নিহতরা সবাই একই পরিবারের। ঘটনার এক সপ্তাহ পর তাদের মৃতদেহ চুড়িবাস থেকে এক কিলোমিটার দূরে একটি পুকুরে পাওয়া যায়।

আন্তর্জাতিক