কর্ণফুলি পেপারে উৎপাদন বাড়ানোর আগ্রহ অ্যাঞ্জেলিকার

পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহার করে কর্ণফুলি পেপার মিলসের (কেপিএম) উৎপাদন দক্ষতা বাড়ানো এবং পণ্য বহুমুখীকরণে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে জাপান ও বাংলাদেশের যৌথ বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাঞ্জেলিকা (জেবি) লিমিটেড।

সোমবার বাংলাদেশ সফররত অ্যাঞ্জেলিকা (জেবি) লিমিটেডের প্রেসিডেন্ট এন আহসান উইলিয়াম (N. Ahsan William)) শিল্প মন্ত্রণালয়ে শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়ার সঙ্গে বৈঠককালে এ আগ্রহের কথা জানান।

বৈঠকে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে হাইব্রিড বাঁশ উৎপাদনের মাধ্যমে কারখানায় অব্যাহত কাঁচামাল যোগানের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে বাঁশ থেকে পরিবেশবান্ধব টয়লেট পেপার, টিস্যু, তোয়ালে ও ন্যাপকিনসহ পণ্য বহুমুখীকরণেও বিনিয়োগ করবে প্রতিষ্ঠানটি।

বৈঠকে অ্যাঞ্জেলিকার প্রেসিডেন্ট বলেন, কর্ণফুলি পেপার মিলস এলাকায় পরিবেশবান্ধব ও গুণগত মানসম্পন্ন হাইব্রিড বাঁশ উৎপাদনের মাধ্যমে মাত্র ছয় মাসে কেপিএমের পুরো চাহিদা মেটানো সম্ভব। একই সঙ্গে রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকলে আখের চাহিদা মেটাতে হাইব্রিড আখ চাষেরও প্রস্তাব করেন তিনি। উচ্চ ফলনশীল প্রজাতির এ আখ থেকে শতকরা ১১ থেকে ১৩ ভাগ রিকভারি পাওয়া যাবে। এ প্রজাতির আখ চাষে ১৮ মাসে দু’বার ফলন পাওয়া যাবে। বাংলাদেশে উচ্চ ফলনশীল বাঁশ ও আখ সম্প্রসারণ করে কেপিএম ও রাষ্ট্রায়ত্ত চিনি শিল্পকে লাভজনক করা সম্ভব হবে বলে  মন্তব্য করেন তিনি।

জাপানের পরিবেশবান্ধব এ বিনিয়োগ প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে বৈঠকে শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া বলেন, জলবায়ু ও পরিবেশের জন্য টেকসই হলে বাংলাদেশ দ্রুত এ প্রযুক্তি নেবে। দেশের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান থেকে প্রস্তাবিত প্রজাতির আখ ও বাঁশের গ্রহণযোগ্যতা সনদ সংগ্রহের পরামর্শ দেন তিনি। একই সঙ্গে প্রস্তাবিত প্রকল্পের প্রাক-গ্রহণযোগ্যতা যাচাইয়ে এ বিষয়ে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান বিসিআইসি ও বিএসএফআইসির নিকট বাণিজ্যিক প্রস্তাব দেওয়ার জন্য আহ্বান জানান মন্ত্রী।

বৈঠকে শিল্পসচিব কে এইচ মাসুদ সিদ্দিকী, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ বি এম খোরশেদ আলম, বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের চেয়ারম্যান মাহমুদউল হক ভূঁইয়া, অ্যাঞ্জেলিকা (জেবি) লিমিটেডের জাপানি পরিচালক ইয়ামাশিতা নরিও ও কইচিরো ওহতা, বাংলাদেশি মহাব্যবস্থাপক হাবিবুর রহমান, নির্বাহী হিদেয়ুকি সাইতো  প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

অর্থ বাণিজ্য