বিবিয়ানা সম্প্রসারণ প্রকল্পে ৫মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে শেভরন বাংলাদেশ। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে দৈনিক ৩০০ মিলিয়ন ঘনফুট বাড়তি গ্যাস উৎপাদন হবে। এই ঘোষণাকে জ্বালানি খাতের জন্য মাইলফলক বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবুল মুহিত।
সোমবার বিকেলে হোটেল রূপসী বাংলায় এক অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে এই বিনিয়োগের ঘোষণা দেয় শেভরন।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবুল মুহিত, প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক ই-ইলাহী, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এনামুল হক, বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব আবুল কালাম আজাদ, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান ড. হোসেন মনসুর, বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান মজিনা ও শেভরন বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট জেফ স্ট্রং।
অর্থমন্ত্রী বলেন, গত সোমবার রেকর্ড পরিমাণ গ্যাস উৎপাদন হয়েছে। এদিন ২ হাজার ২৩৯ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন করা হয়েছে। যা এ যাবত কালের মধ্যে সর্বোচ্চ। কিন্তু দুঃজনক হলেও সত্য অনেক শিল্প ও সারকারখানায় গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না।
প্রাথমিক জ্বালানি ঘাটতির কারণে উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আরো বাড়তি ৩০০ মিলিয়ন গ্যাস উৎপাদন করতে পারলে তা অর্থনীতিতে বিশাল ভূমিকা রাখবে।
জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, কোনো কাজ করতে হলে পরিকল্পনা ও চিন্তা করার প্রয়োজন হয়। অধৈর্য হলে চলবে না। বাড়তি গ্যাস পাওয়া গেলে বিদ্যুতের ব্যয়ভার কমে আসবে।
তিনি বলেন, মুচাই কম্প্রেসার করার সময় অনেক দুমুর্খ লোক অনেক সমালোচনা করেছিলো। আজকে আমরা তার সুফল পেতে শুরু করেছি।
বিদ্যুৎ সচিব বলেন, গ্যাস বেশি উৎপাদন করতে পারলে তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র কমিয়ে দেওয়া হবে। আর তাতে বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ কমে আসবে।
শেভরনের বিনিয়োগ বিষয়ে ড্যান মজিনা বলেন, এটি বাংলাদেশের জন্য মাইল ফলক। জ্বালানি খাতে এত বড় কোনো একক বিনিয়োগ এই প্রথম। এতে করে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশের কাতারে পৌঁছাতে অনেক সহায়ক হবে।
তিনি শেভরনের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, তারা অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে অনেক এগিয়ে রয়েছে।
শেভরনের প্রেসিডেন্ট বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের মোট গ্যাস উৎপাদনের ৫০ ভাগ আমরা উৎপাদন করছি। নতুন এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে শেভরনের অংশীদারিত্ব আরো বেড়ে যাবে।
উল্লেখ্য, শেভরন ৫০০ মিলিয়ন ডলার বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ডে বিনিয়োগ করবে। এই গ্যাস ফিল্ডে আরো নতুন কূপ খনন করা হবে বলে জানা গেছে।