ঈদ সামনে রেখে প্রবাসীদের টাকা পাঠানোর পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ের ২৭ দিনে ১০২ কোটি ৪৭ লাখ ডলারের রেমিটেন্স দেশে এসেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা আশা করছেন, মাসের বাকি চার দিনের হিসাব যোগ হলে জুলাইয়ে রেমিটেন্সের পরিমাণ ১২০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে।
গত অর্থবছরের শেষ মাস জুনে ১০৭ কোটি ডলার দেশে পাঠিয়েছিলেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
রেমিটেন্স প্রবাহ বাড়ায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভও বেড়েছে। সোমবার দিন শেষে রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১০ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলার।
চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) আমদানি দেনা পরিশোধের পর রিজার্ভ ১০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছিল।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে রেমিটেন্স বাড়াতে বাংলদেশ ব্যাংক নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। এখন প্রবাসীরা মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমে পরিবারের কাছে টাকা পাঠাতে পারছেন।
“এ সব পদক্ষেপের ফলে রেমিটেন্স বাড়ছে। বাড়ছে রিজার্ভ”, বলেন গভর্নর।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ঈদ সামনে রেখে প্রবাসীরা তাদের পরিবার-পরিজনের কাছে বেশি টাকা পাঠাচ্ছেন। এ কারণে জুলাই মাসে বেশি রেমিটেন্স আসছে।
“২৮ থেকে ৩১ জুলাইয়ের হিসাব যোগ হলে এ মাসে মোট রেমিটেন্সের পরিমাণ ১২০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলেই আমাদের ধারণা”, বলেন তিনি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, জুলাই মাসে সরকারি মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ২৩ কোটি ১৫ লাখ ডলার, এবং ৩০টি বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ৭১ কোটি ৬০ লাখ ডলার দেশে এসেছে।
এছাড়া নয়টি বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন এক কোটি ৬৩ লাখ ডলার। আর দুটি বিশেষায়িত ব্যাংকের (কৃষি ও বেসিক ব্যাংক) মাধ্যমে এসেছে এক কোটি আট লাখ ডলার।
গত অর্থবছরে ১২ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স দেশে এসেছিল, যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ১০ দশমিক ২৬ শতাংশ বেশি।
এর আগের অর্থবছর, অর্থাৎ ২০১০-১১ তে রেমিটেন্সে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৬ শতাংশ।