জাতীয় পার্টির এক ধনাঢ্য সংসদ সদস্যকে নগ্ন করে নগ্ন নারীর সঙ্গে ভিডিওচিত্র তুলতে বাধ্য করেছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র।
গত কয়েকদিন ধরে এ বিষয়ে গুঞ্জন চললেও অবশেষে বিষয়টি খোলাসা করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ডিএমপি জানায়, গত ১৬ মে গুলশানে ওই সংসদ সদস্যের মালিকানাধীন ভবনের ব্যবসায়িক কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা তার কার্যালয়ে ঢুকে সুযোগ বুঝে দরজা বন্ধ করে তাকে জিম্মি করে ফেলে।
এ সময় এক নারী বিবস্ত্র হয়ে সংসদ সদস্যের পাশে দাঁড়ান। চক্রের বাকি সদস্যরা সংসদ সদস্যকেও বিবস্ত্র হতে বাধ্য করে। ওই অবস্থায় ভিডিওচিত্র ধারন করা হয়।
ডিএমপি জানায়, সংঘবদ্ধ চক্রটি সংসদ সদস্যকে জিম্মি করতে এ ঘটনা ঘটায়। ডিএমপির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ভিডিওচিত্রটি ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে তাৎক্ষণিকভাবেই ওই সংসদ সদস্যের কাছে ৫০ লাখ টাকা দাবি করা হলে তিনি তখনই ১৮ লাখ টাকা দেন। পরে তারা আরও দুই কোটি টাকা দাবি করলে বিষয়টি জানতে পারে ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
ডিএমপি সূত্রে জানা যায়, শনিবার দিনগত রাতে ডিবির জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার আবদুল আহাদের নেতৃত্বে একটি দল ওই সংঘবদ্ধ চক্রের পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে। এ অভিযোগে পুলিশ তিন নারীসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন মেহেরুন্নেছা (৫০), শাহনাজ জামান ওরফে জুঁই (৪২), কোহিনূর আক্তার ওরফে বৃষ্টি (২০), সোহরাব হোসেন (৩৮) ও আসাদুজ্জামান (৩২)।
জানা গেছে, এ চক্রের সঙ্গে আরও লোক জড়িত রয়েছে। পুলিশ তাদের কাছ থেকে ভিডিওচিত্রসহ পেনড্রাইভ, ভিডিও ক্যামেরা উদ্ধার করেছে বলে জানা গেছে।