দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অলিম্পিক কমিটির আমন্ত্রণে ৫ দিনের লন্ডন সফর শেষে সোমবার সকাল ৯টায় ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে এসে পৌঁছান তিনি। বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান মন্ত্রীপরিষদের সদস্যবর্গসহ আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা।
রোববার বাংলাদেশ সময় রাত ১১.১০ (লন্ডন সময় বিকেল ৬.১০ মিনিট) মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করেন তিনি।
এর আগে বিমানের ইউকে অ্যান্ড আয়ারল্যান্ডের কান্ট্রি ম্যানেজার আতিক চিশতির বরাতে বাংলানিউজের লন্ডন করেসপন্ডেন্ট সৈয়দ আনাস পাশা নির্ধারিত সময়েই প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে বিমান ঢাকার উদ্দেশে উড়াল দেয় বলে নিশ্চিত করেন।
লন্ডন হিথরো বিমান বন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান, ব্রিটেনে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার ড. সাইদুর রহমান খান ও যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান শরীফ।
হিথরো বিমান বন্দরের উদ্দেশে সেন্ট প্যাংক্রাস হোটেল রেঁনেসা ত্যাগ করার আগে রোববার যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সারাদিনই সাক্ষাত দেন প্রধানমন্ত্রী।
গত ২৫ জুলাই বুধবার অলিম্পিক কমিটির আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী লন্ডন যান। ঐদিনই লন্ডনের বাংলা মিডিয়ার সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় মিলিত হন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৩৮ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। তাঁর সফরসঙ্গীদের মধ্যে ছিলেন- পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি, এ্যাম্বাসেডর এ্যাট-লার্জ এম জিয়াউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ।
২৬ জুলাই বৃহস্পতিবার ব্রিটেনের অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপ এবং হাউস অব লর্ডসের সদস্য লর্ড আহমেদকে সাক্ষাৎ দেন প্রধানমন্ত্রী। ঐদিনই সানডে টেলিগ্রাফের হোয়াইট হল এডিটর টেড জিউরি একটি সাক্ষাতকার নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।
২৭ জুলাই প্রধানমন্ত্রী সাক্ষাতকার দেন আল জাজিরা টেলিভিশনকে। ঐদিন দুপুরে ব্রিটেনের বিরোধী দলীয় নেতা এডওয়ার্ড মিলিব্যান্ড প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেন হোটেলে স্যুটে। বিকেলে বাকিংহাম প্যালেসে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের দেওয়া এক রিসিপশনে ছেলে জয়কে নিয়ে যোগদেন প্রধানমন্ত্রী।
ঐ রিসিপশন শেষে তিনি সরাসরি চলে যান অলিম্পিক ভিলেজে অলিম্পিক ২০১২ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে।
এসময় তার সঙ্গে সাথে ছিলেন ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয়, পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী আহাদ আলী সরকার ও ব্রিটেনে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার ড. সাইদুর রহমান খান।
এছাড়াও বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসের বাংলা বিভাগকে সাক্ষাতকার দেওয়াসহ বেশ কয়েকটি কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।