শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারের দেয়া নির্দেশ অনুযায়ী পাঠদান চলছে কিনা নিয়মিত মনিটরিং করা হবে, ব্যত্যয় হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আজ রবিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে আজিমপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ পরিদর্শনে এসে তিনি এ কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। যদি কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দৃশ্যমান ময়লা-আবর্জনা পাওয়া যায়, তাহলে সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট সকলের বিরুদ্ধে ইনস্ট্যান্ট ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ছাড়া স্কুলের ইউনিফর্মের বিষয়ে শিক্ষার্থীদের চাপ না দিতে নির্দেশ দেন শিক্ষামন্ত্রী।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সঠিক সময় মনে করেই আজ দেশে স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়া হয়েছে। স্কুল-কলেজ না খোলার জন্য শয়ে শয়ে বার্তা ছিল বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘করোনা সংক্রমণের হার কমতে থাকায় কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়েছে। আমরা ধরে নিয়েছিলাম, ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সংক্রমণের হার একেবারে ৫ শতাংশে না হলেও এর কাছাকাছি নেমে আসবে। তার ভিত্তিতেই কিন্তু আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত নেই। আমরা এই সময়টাকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার যথার্থ সময় মনে করেছি।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আজ দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়েছে। সবার মধ্যেই সাজসাজ রব। শিক্ষার্থী থেকে অভিভাবক সবার মধ্যেই উদ্দীপনা বিরাজ করছে।’
তিনি বলেন, ‘আমার কাছে শয়ে শয়ে মেসেজ এসেছে যে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবেন না। আসলে সবদিকেই অনেক মতামত রয়েছে। তার মধ্য থেকেই আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হলেও আমরা সেই চিন্তাও মাথায় রেখেছি। যদি কোনো আশঙ্কা দেখা যায়, তাহলে শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে না রেখে আগের পদ্ধতিতে ফিরে যাব।’
দীপু মনি বলেন, ‘শুধু সংক্রমণের হার নয় আমাদের অন্য বিষয়গুলোও বিবেচনায় নিতে হয়েছে। শিক্ষার্থীদের শারীরিক-মানসিকসহ নানাবিধ সমস্যা তৈরি হচ্ছে। এসব মাথায় নিয়েই আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলেছি। করোনার সঙ্গে হয়তো আমাদের আরও অনেক দিন বসবাস করতে হবে।’
ডেঙ্গুর প্রভাবের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টদের এ ব্যাপারে সচেতন থাকার অনুরোধ করেন।