পশ্চিমবঙ্গে মমতার কেন্দ্রে ভোটগ্রহণের তারিখ ঘোষণা

পশ্চিমবঙ্গে মমতার কেন্দ্রে ভোটগ্রহণের তারিখ ঘোষণা

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজ আসন ভবানীপুরের উপনির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর হবে ভোটগ্রহণ। ফল ঘোষণা হবে ৩ অক্টোবর। রাজ্যে বিগত বিধানসভা নির্বাচনের ভোট প্রক্রিয়া চলাকালীন মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর ও সামশেরগঞ্জে প্রার্থী মারা গিয়েছিলেন। এই দুই আসনেও একইদিনে নির্বাচন হবে। ফল ঘোষণাও হবে একইদিনে। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।

কমিশন জানিয়েছে, উপনির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি হবে ৬ সেপ্টেম্বর। মনোনয়ন জমা দেয়ার শেষ দিন ১৩ সেপ্টেম্বর। মনোনয়ন যাচাই-বাছাই করা হবে ১৪ সেপ্টেম্বর। আর মনোনয়ন প্রত্যাহার করার শেষদিন ১৬ সেপ্টেম্বর। ভবানীপুরের পাশাপাশি উপনির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহ, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় গোসাবায়।

নির্বাচনের ফল ঘোষণার আগেই করোনা সংক্রমণে মারা যান খড়দহের তৃণমূল প্রার্থী কাজল সিংহ। সেখানে জিতেছিল তৃণমূল। বিধায়ক পদে শপথ নেয়ার পরে মারা গেছেন গোসাবার তৃণমূল বিধায়ক জয়ন্ত নস্কর। এছাড়া বিধানসভায় জিতেও সাংসদ পদে থেকে যাবেন বলে দিনহাটা ও শান্তিপুরের বিধায়ক পদ ছেড়েছেন বিজেপির দুই সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক ও জগন্নাথ সরকার।

কিন্তু সেই চার কেন্দ্রে এখনও উপনির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেনি নির্বাচন কমিশন। কমিশন বলছে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিশেষ অনুরোধেই ভবানীপুরে উপনির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। অন্যান্য কেন্দ্রের তুলনায় ভবানীপুর নিয়েই মানুষের আগ্রহ বেশি। কারণ সেখানে প্রার্থী হওয়ার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতার। গত বিধানসভা নির্বাচনে ভবানীপুরে প্রার্থী হয়েছিলেন কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তিনি ২১ মে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন।

আর তারপরই তৃণমূল জানায়, এই আসনে প্রার্থী হবেন মমতাই। তাই উপনির্বাচন ঘোষণার অনেক আগে মে মাস থেকেই ওই আসনের উপনির্বাচনের প্রস্তুতিতে নেমে পড়ে তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা। নিয়ম অনুযায়ী, কোনও কেন্দ্রে বিধায়কের মৃত্যু হলে বা ইস্তফা দিলে ছয় মাসের মধ্যে উপনির্বাচন হওয়া বাঞ্ছনীয়। তবে বিশেষ পরিস্থিতিতে তার ব্যতিক্রমও হয়েছে অনেক সময়। ৫ মে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন মমতা। সাংবিধানিক নিয়ম মেনে ৫ নভেম্বরের মধ্যে তাকে বিধায়ক হয়ে আসতে হবে।

বিধানসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর তিন মাস অতিক্রান্ত হয়ে যেতেই উপনির্বাচনের দাবিতে সরব হয় তৃণমূল। অন্যদিকে বিজেপি করোনা পরিস্থিতির উল্লেখ করে উল্টো মত দিয়েছে। সম্প্রতি উপনির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী কর্মকর্তাদেরর সঙ্গে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা। সেখানে প্রতিটি রাজ্যের কাছে নির্বাচন করার ব্যাপারে মতামত জানতে চাওয়া হয়। সেই বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনী কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, তারা তখনই নির্বাচন করতে প্রস্তুত।

আন্তর্জাতিক শীর্ষ খবর