দুই দশকের সকল সাংবাদিক হত্যাকানণ্ডের বিচার করা হবে। পুলিশকে ওই সকল হত্যাকাণ্ডের তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এসব কথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুনের।
শনিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে জাতীয় তরুণ প্রজন্ম আয়োজিত ‘উন্নয়নের সোপান আইন শৃঙ্খলার বাস্তবায়ন’ শীর্ষক মতবিনিময় ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকারীদের বিচার প্রসঙ্গে তার বলা পূর্বের কথার পুনরুক্তি করে বলেন, আন্তরিকতার সঙ্গে তদন্ত চলছে। অবশ্যই হত্যাকারীদের খুঁজে বের করা হবে।
মন্ত্রী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শেষ করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, এর জন্য তরুণ প্রজন্মের সহায়তা প্রয়োজন। জনগণ সঙ্গে থাকলে এই বিচার কেউ ঠেকাতে পারবে।
তিনি আরও বলেন, জামায়াত-বিএনপি নানাভাবে এই বিচার বাঁধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে। তারা দেশে অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে এ জন্য জনগণকে সজাগ থাকতে হবে।
অরাজকতা সৃষ্টির জন্যই সচিবালয়ে বোমা হামলা চালানো হয়েছিলো বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এসময় পুলিশ প্রশাসনকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে মন্তব্য করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পুলিশের পেশাকে উন্নত পেশায় পরিণত করার জন্য কাজ করা হচ্ছে। এজন্য উন্নত প্রশিক্ষণ ও সদস্য সংখ্যা বাড়নোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পুলিশের অতিরিক্ত আইজি (প্রশাসন) একেএম শহীদুল হক বলেন, শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য আইন। তবে আইন না মানার সংস্কৃতি থাকলে জোর করে আইন বাস্তবায়ন করা কঠিন।
তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে সফল দাবি করে বলেন, বিগত সময়ের সঙ্গে তুলনা করলেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সফল তা পরিস্কার হবে। অতীতের মতো এখন সিরিজ বোমা নেই। জেএমবির উৎপাত নেই। ছোটখাটো ঘটনা সব সময়েই ছিলো।
জনগণ সহযোগিতা না করলে পুলিশের একার পক্ষে আইন শৃঙ্খলা রক্ষা করা কঠিন উল্লেখ করে অতিরিক্ত আইজি শহীদুল সমাজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পুলিশকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান।
বিশেষ মহল পরিকল্পিতভাবে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটালে পুলিশের একার পক্ষে তা সম্ভব নয় উল্লেখ করে তিনি বুয়েটের আন্দোলনে ছাত্র ও কর্মচারিদের অংশ নেওয়ার আগে ভেবে দেখা উচিত ছিল বলেও মন্তব্য করেন।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সাবান মাহমুদ তার বক্তব্যে বলেন, বিদেশে ৯৯ ভাগ জনগণ আইন মানতে চায়। আর আমাদের ৯৯ ভাগ মানুষ আইন মানতে চায় না। এ অবস্থায় আইন-শৃঙ্খলার উন্নয়ন করা কঠিন। সবাইকে আইন মানার মানসিকতা তৈরি করতে হবে।
জাতীয় তরুণ প্রজন্মের সভাপতি রাসেল আশেকীর সভাপতিত্বে আলোচক হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. এম অহিদুজ্জামান।