আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা:
আমরা বিগত ১৯৭৭ সালে ৪০/৫০ জন ছাত্র ও যুবক একত্র হয়ে সামাজিক উন্নয়নের জন্য “মোক্তারপুর রুপালী সংঘ” নামে একটি সমিতি গঠন করি। উক্ত সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নির্বাচিত হন আমার জেঠাতো ভাই আমজাত হোসেন খান (রোমান) ও আমি উক্ত সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হই। পরবর্তিতে সদস্য সংখ্যা প্রায় ৭০/৮০ জনে বৃদ্ধি পায়।
১৯৭৯ সালে আমাদের সংগঠনের অফিসের সামান্য দূরে সরকারী হালটে অবস্থিত একটি বড় কাঠাল গাছ পাশের জমির মালিকেরা একটি বড় কাঠাল গাছ কেটে ফেলছে শুনে আমি ও আমাদের সংগঠনের কিছু ছেলে উক্ত কাঠাল গাছটি না কাটার জন্য অনুরোধ করি। তারা আমাদের অনুরোধ উপেক্ষা করে উক্ত গাছটি কেটে নিয়ে যায়। (সেখানে কোন প্রকার অপ্রিতিকর ঘঠনা ঘঠেনি।)
উক্ত ঘঠনার একদিন পর রাতে আমাদের বাড়িতে পুলিশ এসে আমার পিতা মোহাম্মদ আলী খান (বাদশা মিয়া) ও আমার জেঠা সুলতান উদ্দিন খানকে গ্রেফতার করে আমাদের বাড়ি থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত কালীগঞ্জ (গাজীপুর) থানায় নিয়ে যায়। (উক্ত মামলায় আসামী করা হয় আমার পিতা মোহাম্মদ আলী খান, আমার জেঠা সুলতান উদ্দিন খান, আমার জেঠাতো ভাই আমজাত হোসেন খান ও আমাকে।) আমার পিতা ও জেঠাকে থানায় নেয়ার পর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিস্তারিত ঘঠনা শুনার পর আমার পিতাকে উনার নিজস্ব বাস ভবনে এক রাত্র রেখে পরের দিন গাজীপুর আদালতে পাঠান। ঐদিনই উনারা আদালত থেকে জামিন নিয়ে বাড়িতে আসেন। আমার পিতা আমাকে একদিনের জন্যও আদালতে হাজির না করে অনেক আর্থিক ক্ষতি মেনে নিয়ে মামলার নিষ্পত্তি করেন। আমার জন্য আমার পিতা ও জেঠাকে সীমাহীন অপমানিত হতে হয়েছে, কথাটি মনে হলেই আমার মনে আমি খুবই কষ্ট অনুভব করি।
এখানে উল্লেখ্য যে, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ১৯৭০ সালে নির্বাচিত দুই জন এমপি যথাক্রমে জনাব ময়েজ উদ্দিন আহমেদ (১২ দিন) ও জনাব আবদুল বাড়িতেহাকিম মাস্টার (৩০ দিন) আমাদের বাড়িতে অবস্থান করে ভারতের উদ্দেশ্যে রওয়ানা করেন। সন্মানিত মেহমাংন আমাদের বাড়িতে অবস্থান করার সময় প্রায় ৩০ জন মুক্তিযুদ্ধা উনাদের নিরাপত্তার জন্য আমাদের বাড়িতে অবস্থান করেন এবং মেহমানগন চলে গেলেও মুক্তিযুদ্ধাগন আমাদের বাড়িতে অবস্থান করতে চাইলে আমার পিতা উনাদের থাকার অনুমতি দেন। আমাদের দেশ স্বাধীন হওয়ার ২ মাস পর উনারা আমাদের বাড়ি ত্যাগ করেন।
এখানে আরো উল্লেখ্য যে ১৯৭৯ সালের নির্বাচনে বিএনপি নির্বাচিত হওয়ার পর (আমি তখন সুনামধন্য তারাগঞ্জ হাই স্কুলে দশম শেনীতে পড়ি ও আমি ক্লাসে ফার্স্ট বয় ছিলাম) বিএনপির রাজনীতির সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সহযোগিতায় এক জামাতী রাজাকারের ভাতিজা আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করে।
মামলায় আমাদের অপুরনীয় ক্ষতি সাধিত হয়।
শুভেচ্ছান্তে,
মুহাম্মদ মনিরুজ্জামান খান
সম্পাদক ও প্রকাশক
www.priyodesh.com