প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে আরও ৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে করোনায় দেশে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৫ হাজার ৯২৬ জনে।
এদিকে, একই সময় নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে আরও ৩ হাজার ৪৩৬ জনের। এ নিয়ে দেশে মোট করোনাভাইরাসে শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪ লাখ ৮৯ হাজার ৫৮৯ জনে। শনাক্তের হার ১৩.৬৭ শতাংশ।
আজ শনিবার (২৮ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সর্বশেষ গত ২৬ জুন করোনায় মৃত্যু একশর নিচে নামে। ওই দিন মারা যান ৭৭ জন। দেশে প্রথমবারের মতো করোনায় মৃত্যু ১০০ ছাড়ায় গত ১৬ এপ্রিল। ওই দিন মারা গিয়েছিলেন ১০১ জন।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন চার হাজার ৮৬১ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৪ লাখ নয় হাজার ২৩১ জন।
সারাদেশে সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭৮৯টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১৩৬টি, জিন এক্সপার্ট ৫৪টি, র্যাপিড অ্যান্টিজেন ৫৯৯টি। এসব ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ২৪ হাজার ৬৫২টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৫ হাজার ১২৯টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৮৮ লাখ ৪১ হাজার ৪৭২টি।
এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৮৫ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৪ দশমিক ৬১ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৭৪ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৮০ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৩৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ২১ জন, রাজশাহী বিভাগে একজন, খুলনা বিভাগে নয়জন, বরিশাল বিভাগে চারজন, সিলেট বিভাগে ছয়জন, রংপুর বিভাগে তিনজন ও ময়মনসিংহ বিভাগে দু’জন রয়েছেন। এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ৬৬ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ১২ জন ও বাড়িতে দু’জন মারা গেছেন।
মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে দু’জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ১২ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ২৩ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ২৭ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ১৩ জন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে তিনজন রয়েছেন।
এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৮৬৩ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন এক হাজার ৫২৪ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন তিন লাখ ৬২ হাজার ১০৭ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন তিন লাখ ৩৭৮ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৬১ হাজার ৭২৯ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে।