মুদ্রা বিনিময় নিয়ে বাংলাদেশ-নেপাল আলোচনা

মুদ্রা বিনিময় নিয়ে বাংলাদেশ-নেপাল আলোচনা

বৈদেশিক মুদ্রার মজুদের ওপর চাপ কমাতে সরাসরি টাকা ও রুপির বিনিময় ব্যবস্থা চালুর জন্য বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে আলোচনা শুরু হচ্ছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা  বলেন, “সার্কের আওতায় আঞ্চলিক মুদ্রা বিনিময়ের বিষয়টি বিবেচনাধীন থাকলেও এ নিয়ে ঢাকা ও কাঠমান্ডু দ্বিপক্ষীয়ভাবে কাজ করতে পারে।”

ওই কর্মকর্তা বলেন, শনিবার নেপালে অনুষ্ঠিতব্য সচিব পর্যায়ের বৈঠকে বাণিজ্য সচিব গোলাম হোসেন সে দেশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন।

তিনি জানান, নেপাল ও ভারতের মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী নেপালের হোটেলেও ভারতের রুপি চলে। বাংলাদেশ এরকম চুক্তি করতে পারলে নেপালে টাকাও চলবে।

দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য নেপালের দিকে ঝুকে থাকায় এতে বাংলাদেশের সুবিধাও হবে।

২০১০-২০১১ অর্থবছরে বাংলাদেশ নেপালে ১৩ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে। নেপাল থেকে আমদানি করেছে ৫০ লাখ ডলারের পণ্য।

এ ছাড়াও প্রতিবছর প্রায় ৩০ হাজার বাংলাদেশি পর্যটক নেপাল ভ্রমণ করে এবং বৈদেশিক মুদ্রা খরচ করে।

অগ্রাধিকার বাজার সুবিধা

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা জানান, উভয় সচিব বাণিজ্যে বিস্তার এবং খাদ্যপণ্য, তৈরি পোশাক, টিস্যু, ইলেক্ট্রিক্যাল পণ্য, ওষুধ ও নির্মাণসামগ্রীর ওপর শুল্ক হার পাঁচ শতাংশে নামিয়ে আনার বিষয়ে আলোচনা করবেন। নেপালে এ সমস্ত পণ্যের ভালো চাহিদা আছে।

কাঠমান্ডু শাকসবজি ও ফলমূলের ক্ষেত্রে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার চায়। বিনিময়ে তারা বাংলাদেশের কৃষিপণ্য, মাছ ও অন্যান্য পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার দেওয়ার কথা বলেছে।

বাংলাদেশ ভুটানকে অগ্রাধিকার বাজার সুবিধা দিয়েছে এবং এটাকে কাজে লাগাতে অনেক নেপালি পণ্য থিম্পু হয়ে ঢাকায় আসছে।

ঢাকা-কাঠমান্ডু বাস সার্ভিস

ভারত হয়ে বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে সরাসরি বাস সার্ভিস চালুর বিষয়টি বাংলাদেশ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা বলেন, ইতোমধ্যেই কাঠমান্ডু বাস সার্ভিস চুক্তির একটি খসড়া পাঠিয়েছে। ঢাকা এটাকে চূড়ান্ত করার বিষয়ে কাজ করছে।

তিনি বলেন, “আমাদের বাণিজ্য সচিব বৈঠকে বিষয়টির অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করবেন। শিগগিরই চুক্তিটি চূড়ান্ত হবে বলে আশা করছি।”

নিয়মিত বৈঠক

দুই দেশের পররাষ্ট্র দপ্তরের মধ্যে নিয়মিত বৈঠক আয়োজনের জন্য বাংলাদেশ ও নেপাল একটি সমঝোতা স্মারকে সই করতে যাচ্ছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা বলেন, সমঝোতা স্মারক সই করতে ৩০ জুলাই নেপালের পররাষ্ট্র সচিব দূর্গা প্রসাদ ভট্টরাই ৩০ জুলাই ঢাকায় আসছেন। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মিজারুল কায়েস তার সঙ্গে বৈঠক করবেন।

“পাকিস্তান ও শ্রীলংকার সঙ্গে আমাদের একই রকম সমঝোতা স্মারক সই করা আছে যার অধীনে তাদের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক হয়।”

নেপাল বিজয় দিবসের বিজয় দিবসের আগেই ১৯৭১ সালের ৭ অক্টোবর সেদেশে বাংলাদেশ মিশন চালুর অনুমোদন দেয়।

কাঠমান্ডু থেকে ভারত হয়ে জলবিদ্যুৎ আমদানি করার বিষয়ে বাংলাদেশ নেপালের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক ও উপ-আঞ্চলিকভাবে কাজ করছে।

অর্থ বাণিজ্য