আগামী অগাস্টের মধ্যে ৪টি মোবাইল ফোন অপারেটরের দ্বিতীয় প্রজন্মের লাইসেন্স নবায়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
বৃহস্পতিবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মোবাইল ফোন অপারেটরদের প্রতিনিধি, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠক শেষে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, “টুজি লাইসেন্স নবায়নে আদালতে বিভিন্ন মামলা রয়েছে, সরকার পক্ষ ও অপারেটরদের এসব মামলা প্রত্যাহারের জন্য বলা হয়েছে। মামলা প্রত্যাহারের পর লাইসেন্স নবায়ন করা হবে।”
এ জন্য কিছুটা সময় লাগবে বলেও জানান অর্থমন্ত্রী।
গত বছরের নভেম্বরে গ্রামীণফোনসহ চারটি মোবাইল অপারেটরের টুজি লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়।
গ্রামীণফোন, বাংলালিংক, রবি ও সিটিসেল-এর লাইসেন্স নবায়ন নিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি ও অপারেটরদের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দিলে তা আদালত পর্যন্ত গড়ায়। বর্তমানে বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন আছে।
বৈঠকে তৃতীয় প্রজন্মের (থ্রিজি) লাইসেন্স নিয়ে কোনো ধরনের আলোচনা হয়নি বলে জানান অর্থমন্ত্রী।
সভায় সরকারপক্ষ ও অপারেটররা তিনটি বিষয়ে এক মত হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, “লাইসেন্স নবায়নে মার্কেট কম্পিটিশন ফ্যাক্টর ধরা হয়েছিল ২০০৮ সাল থেকে। তা এখন ২০১০ সাল থেকে ধরা হবে। লাইসেন্স নবায়নে বিটিআরসির টাকার সাথে এনবিআরের ১৫ শতাংশ টাকা দিতে হবে। পরবর্তীতে প্রতি বছর লাইসেন্স নবায়নে অপারেটররা এনবিআরের ১৫ শতাংশ টাকা ছাড় পাবে। কোর্টের সিদ্ধান্ত সরকার পক্ষ ও অপারেটররা মেনে নেবে।”
অর্থমন্ত্রী বলেন, “অপারেটররা জানিয়েছে, টুজি লাইসেন্স নবায়ন করতে না পারায় তারা বিনিয়োগ করতে পারছে না। তাই তারা দ্রুত টুজি লাইসেন্স নবায়ন করতে বলছে।”