মানুষের কল্যাণ করতে চাইলে আওয়ামী লীগে যোগ দিতে হবে: সাজেদা চৌধুরী

মানুষের কল্যাণ করতে চাইলে আওয়ামী লীগে যোগ দিতে হবে: সাজেদা চৌধুরী

আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী এমপি বলেছেন, আওয়ামী লীগকে যারা শেষ করার চেষ্টা করে তারাই বিলীন হয়ে যায়। আর আওয়ামী লীগ এগিয়ে যায়, বেঁচে থাকে নিরন্তর। জনগণের মধ্যে থাকাই আসল বেঁচে থাকা। আওয়ামী লীগ সেভাবে যুগ যুগ ধরে বেঁচে আছে।
তিনি বলেন, মানুষের কল্যাণ করতে চাইলে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগে যোগ দিতে হবে। আদর্শভিত্তিক রাজনীতি করলে কোনো ধরনের প্রলোভন কাবু করতে পারে না।
শুক্রবার সকালে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সাজেদা চৌধুরী বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নানা ধরনের বাধার সস্মুখীন হচ্ছেন। দক্ষতা দিয়ে সে বাধাগুলো অতিক্রম করছেন।
স্বেচ্ছাসেবক লীগকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, কোনো কিছুর বিনিময় ছাড়া স্বেচ্ছায় যারা ঝুঁকিপূর্ণ কাজে অংশ নেন, তারাই স্বেচ্ছাসেবক লীগ। স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীদের বর্তমান সরকারের ঘোষিত রুপকল্প-২০২১ বাস্তবায়নের সহযোগিতা এবং রাজাকারমুক্ত বাংলাদেশ গড়ারও আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘‘এ দেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শেষ করতেই হবে। কমপক্ষে ২/১ জনকে না শাস্তি দিতে হবে। শুধু আইন নিয়ে বসে থাকলে চলবে না। কারণ, আমরা আইন দেখে মুক্তিযুদ্ধ করিনি, দেশকে স্বাধীন করিনি।’’ এ দেশ থেকে কিভাবে রাজাকার পালিয়ে যায়- প্রশ্ন রেখে তিনি রাজাকার পালিয়ে যেতে যারা সহযোগিতা করে, তাদেরও শাস্তি হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, বিরোধী দলীয় মহাসচিব প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে অসত্য কথা ও কটুক্তি করেছেন। তিনি বলেছিলেন, বর্তমান সরকার সুড়ঙ্গের মধ্য থেকে বের হতে পারছে না।
এই সুড়ঙ্গ বিএনপি-জামায়াত সরকার সৃষ্টি করেছিল। আর বর্তমান সরকার তা দূর করেছে দাবি করে হানিফ বলেন, ‘‘আপনারা দেশকে কিভাবে দুর্নীতিতে ভরিয়ে দিয়েছিল, তা জনগণ ভোলেনি। বর্তমান সরকারের দুর্নীতির কথা বলার আগে আপনার লজ্জা হওয়া উচিত ছিল। কারণ, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মার্কিন নাগরিক সাক্ষ্য দিয়ে গেছেন। তাতেও আপনাদের লজ্জা হয়নি। অথচ বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে বর্তমান সরকারে সামান্য ভুল বোঝাবুঝি নিয়ে আপনারা লজ্জিত হন।’’
হানিফ বলেন, ‘‘আবার বলছি, পদ্মাসেতু নিয়ে দুর্নীতি হয়নি। যেখানে ঠিকাদার নিয়োগ হয়নি, সেখানে দুর্নীতি হওয়া অবান্তর। শুধুমাত্র দেশের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রী বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির অবসান করছেন। সৈয়দ আবুল হোসেন পদত্যাগ করে দেশপ্রেমের প্রমাণ দিয়েছেন।’’
এ সরকারের আমলেই বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হবে বলে আশা প্রকাশ করেন হানিফ।
বিএনপি মহাসচিবকে উদ্দেশ্য করে হানিফ আরো বলেন, ‘‘আপনি না আবুল হোসেন দেশপ্রেমিক তা প্রমাণ করতে হবে। আপনাদের জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রীর বাসায় নাইকোর দেওয়া ৯০ লাখ টাকার গাড়ি পাওয়া গিয়েছিল। সে সময় তার পদত্যাগ করা উচিত ছিল।’’
স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা মো. আবু কায়সারের সভাপতিত্বে সভায় দলের সাবেক ও বর্তমান নেতারা বক্তব্য রাখেন। 

রাজনীতি