ইউরোপ সফরে আয়ারল্যান্ডকে ধবলধোলাই (৩-০) করতে পারলেও অল্পের জন্য নেদারল্যান্ডসকে হোয়াইটওয়াশ করতে পারেনি বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে ডাচরা এক উইকেট হারিয়েছে মুশফিকুর রহিমের দলকে।
বাংলাদেশ: ১২৮ (ওভার ২০)
নেদারল্যান্ডস: ১৩৯/৯ (ওভার ২০)
ফল: নেদারল্যান্ডস এক উইকেটে জয়ী
স্পোটপার্ক ওয়েস্টভলিয়েট স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। খেলতে নেমে শুরুতে নেদারল্যান্ডসের বোলিং তোপে পড়ে সফরকারীরা। দলের ৮ রানের মধ্যে বিদায় নেন জুনায়েদ সিদ্দিকী, সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম।
প্রথম ওভারে বাংলাদেশের ওপর আঘাত হানেন ডাচ বলার গুইজটার্স। তার বলে কিছুটা অসর্তকভাবে খেলতে গিয়ে মিডঅনে রানের খাতা খোলার আগে ক্যাচ দেন জুনায়েদ। দ্বিতীয় ওভারে আবারও উইকেট হারায় বাংলাদেশ। অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে সরাসরি বোল্ড করেন সোয়াট। সাজঘরে ফেরার আগে নিজের ব্যক্তিগত স্কোরে শূন্য ছাড়া কোনো সংখ্যা যোগ করার সুযোগ পাননি সাবেক অধিনায়ক।
পরপর দুই উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা দলকে বিপর্যয় থেকে টেনে তুলতে ক্রিজে আসেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। কিন্তু সুবিধা করতে পারেননি। ব্যক্তিগত ২ রানে তাকেও আউট করেন মাইকেল সোয়ার্ট। চতুর্থ উইকেট জুটিতে ওপেনার তামিম ইকবালের সঙ্গে যোগ দেন সহঅধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। তাদের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে বিপর্যয় সামাল দেয় বাংলাদেশ। এই জুটিতে আসে ৬২ রান। আহসান মালিক জামিলের বলে ক্যাচ আউট হওয়ার আগে ৪১ রান করেন মাহমুদউল্লাহ। ছয়টি চারের মার ছিলো তার ইনিংসে।
পঞ্চম উইকেটে তামিমের সঙ্গে জুটি বাঁধেন জিয়াউর রহমান। ফন ডার গুজটেনের বলে জিয়াউর (২২) আউট হলে জুটি ভাঙে। এই জুটিতে আসে গুরুত্বপূর্ণ ৩৬ রান। এরপর আর জুটি বাঁধতে পারেননি ক্রিকেটাররা। তবে মারকুটে তামিম একেবারে ঠান্ডা মেজাজে খেলেছেন নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে। দ্রুত উইকেট পড়লেও মন্থর গতিতে ব্যাট চালিয়েছেন বাঁহাতি ক্রিকেটার।
৪৬ বলে কাঁটায় কাঁটায় ৫০ রান করার পর গুজটেনের বলে আউট হন তামিম। খুবই রক্ষণাত্মক খেলেছেন তিনি। শুরু থেকে ১৮.৩ ওভার পর্যন্ত ব্যাট করে দুটি চারের পাশাপাশি ছয় মেরেছেন একটি। ডাচদের বোলিং তোপে শেষপর্যন্ত গুটিয়ে যাওয়ার আগে ১২৮ রান করতে পারে বাংলাদেশ। তিনটি উইকেট নেন গুজটেন। এছাড়া দুটি করে উইকেট নেন মাইকেল সোয়ার্ট ও মুদাসার বুখারি।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করেন নেদারল্যান্ডসের দুই ওপেনার ওয়েসলি বারেসি ও মাইকেল সোয়ার্ট। তবে জুটি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠার আগে তাতে ভাঙন ধরান আব্দুল রাজ্জাক। বাঁহাতি এই স্পিনারের বলে বোল্ড হন বারেসি (১৩)। আর ব্যক্তিগত শূন্য রানে টম কুপারকে প্যাভিলিয়নের পথ দেখান সাকিব।
সোয়ার্টকে ভালো সঙ্গ দিচ্ছিলেন ডাচ অধিনায়ক পিটার বোরেন। তৃতীয় উইকেটে এই জুটিতে দলীয় স্কোরে ৩৬ রান যোগ হওয়ার পর তা গুঁড়িয়ে দেন সাকিব। বাংলাদেশের অধিনায়কের দ্বিতীয় শিকার হন বোরেন (১৬)। নিয়মিত বিরতিতে উইকটে হারালেও গন্তব্যে পৌঁছাতে সমস্যা হয়নি তাদের। মাইকেল সোয়ার্টের ৬১ ও শেষ দিকে সীলার (৩) ও জামিলের (৪) কৌশলী ব্যাটিংয়ে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ডাচরা। শেষ বলে জয়ের জন্য ২ রানের প্রয়োজন হলেও চার মেরে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন জামিল। এজয়ে দুই ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-১ ব্যবধানে সমতা দিয়ে শেষ করেছে নেদারল্যান্ডস।