পদ্মা সেতুর পিলারে বারবার ফেরির ধাক্কা লাগার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, পদ্মা সেতুর পিলারে কেন ফেরির ধাক্কা, এ প্রশ্ন আমারও।
তিনি বলেন, পদ্মা সেতুর পিলারে এ নিয়ে চারবার ধাক্কার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনাকে তুচ্ছ কোনো ঘটনা ও নিছক কোনো দুর্ঘটনা অথবা চালকের অদক্ষতা বলে এড়িয়া যাওয়া ভুল হবে। এখানে কোনো ষড়যন্ত্র আছে কি-না, অন্তর্ঘাত আছে কি-না তদন্ত করে দেখতে হবে। সেনাবাহিনীকে বলব এ ব্যাপারে গভীরভাবে তদারকি করার জন্য। এখানে সর্ষের মধ্যে ভূত আছে কি-না তাও খতিয়ে দেখতে হবে।
পদ্মা সেতুর পিলারে বারবার ফেরির ধাক্কার ঘটনায় আজ শুক্রবার (১৩ আগস্ট) বিকেলে পদ্মা সেতুর মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে পরিদর্শনে এসে এসব কথা বলেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার সকাল পৌনে ৭টার দিকে বাংলাবাজার ঘাট থেকে শিমুলিয়া ঘাটে আসার পথে কাকলি নামের একটি ফেরি পদ্মার সেতুর ১০ নম্বর পিলারে ধাক্কা দেয়। এ নিয়ে পদ্মার সেতুর পিলারে চারবার ফেরির ধাক্কা লাগার ঘটনা ঘটল।
এর আগেও তিনবার বাংলাবাজার ঘাট থেকে আসার পথে পদ্মা সেতুর পিলারে আঘাত করে ফেরি। গত ২০ ও ২৩ জুলাই ১৬ ও ১৭ নম্বর পিলারে এবং ৯ আগস্ট ১০ নম্বর পিলারে আঘাত করে। থানায় জিডি, তদন্ত কমিটি গঠন, ফেরি চালকদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয় সেসব ঘটনায়।
এসব ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘পদ্মা সেতু নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। এখনো এর পেছনে অনেক লোক লেগে আছে। দেশে-বিদেশ থেকেও লেগে আছে। বারবার কেন ঘটছে ধাক্কার ঘটনা?’
তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতু এখন জাতীয় সম্পদ। সারাদেশের মানুষের অনুভূতিতে আঘাত আসে। সেতুটি গোটা জাতির সম্পদ। জাতীয়ভাবে মানুষ আহত হচ্ছে। এভাবে কেন বারে বারে পদ্মা সেতুতে আঘাত লাগছে। এজন্য আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় সভা হবে।’
এ সময় সেতু বিভাগের সচিব মো. আবু বক্কর ছিদ্দিক, পদ্মা সেতুর প্রকল্প পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেক, বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান সৈয়দ তাজুল ইসলাম, মুন্সিগঞ্জের জেলা প্রশাসক কাজী নাহীদ রসুল, পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন, পদ্মা সেতুর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ৯৯ কম্পোজিট বিগ্রেডের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কামরুল হাসান, বিআইডব্লিউটিসির পরিচালক (বাণিজ্য) আসিকুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।