টু-জি লাইসেন্স নবায়নে দীর্ঘসূত্রতা এড়াতে মামলা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত

মোবাইল ফোন অপারেটরদের দ্বিতীয় প্রজন্মের(টু-জি) লাইসেন্স নবায়নে দীর্ঘসূত্রতা এড়াতে এ সংক্রান্ত বিদ্যমান মামলা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তিন পক্ষই(বিটিআরসি-এনবিআর-মোবাইল অপারেটর)।

বৃহস্পতিবার অর্থ মন্ত্রণালয়ে মোবাইল ফোন অপারেটর প্রতিনিধি, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি ও এনবিআর প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক আন্ত:মন্ত্রণালয় বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী রাজি উদ্দিন আহমেদ রাজু এবং আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান,  টু-জি লাইসেন্স নবায়নে আদালতে একাধিক মামলা রয়েছে। সরকার পক্ষ ও অপারেটররা এসব মামলা প্রত্যাহারে সম্মত হয়েছেন।

মামলা প্রত্যাহারের জন্য কিছুটা সময় লাগলেও আগামী আগস্টের মধ্যেই চারটি মোবাইল ফোন অপারেটরদের দ্বিতীয় প্রজন্মের লাইসেন্স নবায়ন করা সম্ভব হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

উল্লেখ্য, গত বছরের নভেম্বরে চারটি (গ্রামীণ, বাংলালিংক, রবি ও সিটিসেল) মোবাইল অপারেটরের টু-জি লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়েছে। এদের লাইসেন্স নবায়ন নিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি ও অপারেটরদের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দিলে তা আদালত পর্যন্ত গড়ায়। বর্তমানে বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন আছে।

বৈঠকটি তৃতীয় প্রজন্মের (থ্রি-জি) লাইসেন্স সংক্রান্ত হলেও এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানান অর্থমন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, বৈঠকে মোবাইল অপারেটররা জানান যে, টু-জি লাইসেন্স নবায়ন করতে না পারায় তারা বিনিয়োগ করতে পারছেন না। তাই তারা দ্রুত টু-জি লাইসেন্স নবায়ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে চান।

অর্থ বাণিজ্য