ক্লাবের রেকর্ড ট্রান্সফার ফি দিয়ে প্রায় সাত বছর পর তারকা ফরোয়ার্ড রোমেলু লুকাকুকে দলে ফিরিয়েছে ইংল্যান্ডের ক্লাব চেলসি। গত মৌসুমে ইতালিয়ান ক্লাব ইন্টার মিলানের হয়ে খেলা লুকাকুকে দ্বিতীয় দফায় দলে পেতে চেলসিকে গুনতে হয়েছে ৯৭.৫ মিলিয়ন পাউন্ড। যা কি না ক্লাবটির ইতিহাসে রেকর্ড।
তবে অল্পের জন্য ব্রিটিশ ফুটবলের রেকর্ডটি করতে পারেননি লুকাকু। গত সপ্তাহেই অ্যাস্টন ভিলা থেকে জ্যাক গ্রিলিশকে পেতে ম্যানচেস্টার সিটির খরচ ছিল ১০০ মিলিয়ন পাউন্ড। সেটিই ব্রিটিশ ফুটবলে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকের রেকর্ড।
এই রেকর্ডটি না হলেও, অন্য আরেকটি বিশ্ব রেকর্ড ঠিকই গড়ে ফেলেছেন বেলজিয়ান তারকা ফুটবলার। এখনও পর্যন্ত ক্যারিয়ারে ৬ বার দলবদল হয়েছে তার। এর মাধ্যমেই ট্রান্সফার ফি হাতবদলের বিশ্ব রেকর্ড হয়ে গেছে লুকাকুর।
সব মিলিয়ে লুকাকুকে পেতে ক্লাবগুলোর মিলিত খরচ ২৮৯ মিলিয়ন পাউন্ড। ফুটবলের ইতিহাসে কোনো এক খেলোয়াড়ের জন্য এটিই সবচেয়ে বেশি ব্যয়ের রেকর্ড। এতদিন ধরে যা ছিল ব্রাজিলিয়ান সেনসেশন নেইমারের দখলে। তার ট্রান্সফারে এখনও পর্যন্ত ব্যয় ২৭৯ মিলিয়ন পাউন্ড।
আন্ডারলেখট থেকে ২০১১ সালে প্রথমবার চেলসিতে যোগ দেন লুকাকু। পরে ২০১৪ পর্যন্ত চেলসিতে ছিলেন তিনি। সেই দফায় তিন মৌসুমে মাত্র ১৫ ম্যাচ খেলতে পেরেছিলেন, যেখানে করেন ১টি গোল। তখন মূলত বেশিরভাগ সময় ইংল্যান্ডের আরেক ক্লাব এভারটনের কাছে লোনেই ছিলেন লুকাকু।
এবার নিশ্চিতভাবেই ক্লাবের মূল তারকা হিসেবে খেলবেন বেলজিয়ান সুপারস্টার। দ্বিতীয় দফায় দলে যোগ দিয়ে তিনি বলেছেন, ‘প্রথমে আমি এখানে এসেছিলাম অল্প বয়সে, যার অনেক কিছু শেখার ছিল। এখন আমি ফিরে এলাম অনেক অভিজ্ঞ ও পরিপক্ক হয়ে। শৈশবে আমি চেলসিকে সমর্থন করতাম আর এখন আমি ফিরলাম দলটির অনেক শিরোপা জয়ে সাহায্য করতে, অসাধারণ অনুভূতি।’
চেলসি থেকে প্রথমে লোনে নিলেও, পরে লুকাকুকে স্থায়ীভাবে কিনে নেয় এভারটন। এজন্য তাদের খরছ হয় ২৮ মিলিয়ন পাউন্ড। পরে ২০১৭ সালে ৭৫ মিলিয়ন পাউন্ডে এভারটন থেকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে নাম লেখান লুকাকু। সেখান থেকে ইন্টার মিলানে যান ৭৪ মিলিয়ন পাউন্ড ট্রান্সফার ফি’তে।