চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে বেসরকারিভাবে চাল আমদানিতে ১০ শতাংশ শুল্ক কমানো হয়েছে। আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত সব ধরনের সেদ্ধ ও আতপ চাল ১৫ শতাংশ শুল্কে আমদানি করা যাবে। এর আগে এসব চাল আমদানিতে শুল্ক ছিল ২৫ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এসব তথ্য জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জনস্বার্থে চালের আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশ পরিমাণ কমানো হলো। ফলে আমদানি শুল্ক দাঁড়াল ১৫ শতাংশ।
আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত আমদানিকারকরা ১৫ শতাংশ হারে শুল্ক দিয়ে সেদ্ধ ও আতপ চাল আমদানি করতে পারবেন। পাশাপাশি চাল আমদানিতে সব ধরনের নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে।
তবে আমদানির আগে প্রতিটি চালানের জন্য খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মনোনীত যুগ্ম-সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তার কাছ থেকে লিখিত অনুমোদন নিতে হবে।
বাসমতি কিংবা সুগন্ধযুক্ত চাল আমদানি পূর্বনির্ধারিত অর্থাৎ ২৫ শতাংশ শুল্কেই আমদানি করতে হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।
এদিকে চলতি বছরের শেষে আমন ধান ওঠার আগ পর্যন্ত সময়ে বাজার স্থিতিশীল রাখতে চাল আমদানি করতে চায় সরকার।
বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘ভোক্তা ও কৃষকের স্বার্থরক্ষার জন্য সরকার চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। অবৈধ মজুতদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি বেসরকারিভাবে চাল আমদানির প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।’