দেশের মৎস্য সম্পদের উৎপাদন বাড়াতে জলমহালগুলো প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা প্রয়োজন বলে মনে করছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
জলমহালগুলোর সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক করার সুপারিশও করেছে কমিটি।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির ৪৪তম বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়। কমিটির সভাপতি এইচএন আশিকুর রহমান বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। কমিটির সদস্য নওয়াব আলী আব্বাস খান, হামিদা বানু শোভা, মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম ও এনামুল হক বৈঠকে অংশ নেন।
সংসদ সচিবালয়ের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বৈঠকে দেশের জলমহালগুলো মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন থাকলে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে দেশের মৎস্য সম্পদ আরও বাড়ানো সম্ভব। এজন্য বৈঠকে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
এছাড়া বৈঠকে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নে নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়।
বৈঠকে জানানো হয়, ২০১১-১২ অর্থ বছরে মৎস্য সম্পদের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়ে ৩০ লাখ ৬২ হাজার মেট্রিক টন হয়েছে। আগামী ২০১৪-১৫ সাল নাগাদ এ উৎপাদন ৩৬ লাখ ৬৫ হাজার মেট্রিক টন এবং ২০২০-২১ সাল নাগাদ ৪৫ লাখ ৫০ লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত করা সম্ভব হবে।
বৈঠকে কৃষি সেক্টরে যেমন খাদ্য শস্য উদ্বৃত্ত থাকে তেমনি মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ সেক্টরে উদ্বৃত্ত উৎপাদনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সেক্টরকে আরও বেশি ভূমিকা রাখতে কোথায় কী ধরনের পরিবর্তন আনা জরুরি সে বিষয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়কে মনোযোগী হয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব উজ্জ্বল বিকাশ দত্ত, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের সচিব মো. মোজাম্মেল হক খান, পরিকল্পনা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব ভূইয়া সফিকুল ইসলাম, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব রীতি ইব্রাহীম, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ড. শামসুল আলম, মাসুদ আহমেদ ও ড. এম এ সাত্তার মন্ডলসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন