বেইজিং বিমানবন্দর থেকে টিকাবাহী উড়োজাহাজ বুধবার (১১ আগস্ট) সন্ধ্যার পর ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়। এর আগে ঢাকায় নিযুক্ত চীনা দূতাবাসের ডেপুটি চিফ অব মিশন হুয়ালং ইয়ান ফেসবুকে টিকা আসার তথ্য জানান।
এর আগে মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) কোভ্যাক্সের আওতায় সিনোফার্মের ১৭ লাখ ডোজ টিকা ঢাকায় আসে। এটি ছিল সিনোফার্ম থেকে কোভ্যাক্সের আওতায় আসা প্রথম চালান।
সোমবার (৯ আগস্ট) সচিবালয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, ১৫ আগস্টের মধ্যে দেশে আরও ৫৪ লাখ টিকা আসবে। কোভ্যাক্স থেকে আরও ৩৪ লাখ এবং চীন থেকে কেনা ১০ লাখ টিকা আসবে। এছাড়া আরও ১০ লাখ টিকা চীন উপহার হিসেবে দেবে।
গত ১২ মে প্রথমবার সিনোফার্মের তৈরি ৫ লাখ টিকা উপহার হিসেবে বাংলাদেশে পাঠায় চীন। এরপর দ্বিতীয় দফায় গত ১৩ জুন আরও ছয় লাখ উপহারের টিকা আসে। সবমিলিয়ে ১১ লাখ টিকা বাংলাদেশকে উপহার হিসেবে দিয়েছে চীন। আরও ১০ লাখ ডোজ টিকা বাংলাদেশকে উপহার হিসেবে দেবে দেশটি।
এর আগে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছিলেন, চীন থেকে সিনোফার্মের আরও ছয় কোটি ডোজ টিকার চুক্তি করা হবে, পর্যায়ক্রমে এসব টিকা দেশে আসবে।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমোদনক্রমে চীনের সঙ্গে আমাদের দেড় কোটি ডোজ টিকার চুক্তি হয়েছে। এরই মধ্যে তারা টিকা পাঠানোও শুরু করেছে। আমরা চীন থেকে আরও ছয় কোটি ডোজ টিকার চুক্তি করব। সব মিলে চীন থেকেই সাড়ে ৭ কোটি ডোজ টিকা দেশে আসবে।
এসব টিকার মধ্যে অক্টোবর ও নভেম্বর মাসেই দুই কোটি করে মোট চার কোটি ডোজ টিকা আসবে বলেও জানান তিনি।