মহিলা ফুটবল দলের খেলার আগে লন্ডন অলিম্পিকের আয়োজকরা ভুল করে উত্তর কোরিয়ার পতাকার বদলে দক্ষিণ কোরিয়ার পতাকা প্রদর্শন করেছে জ্যাম্বো স্ক্রিনে। কলম্বিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামার আগে এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয় উত্তর কোরিয়া। প্রতিবাদে প্রায় এক ঘণ্টা পর মাঠে নামে তারা। যদিও ভুলের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেছে আয়োজকরা।
যখন উত্তর কোরিয়া দলকে পরিচিত করা হচ্ছিলো তখন ঘটে ভুল পতাকা প্রদর্শনের ঘটনা। এসময় বড় পর্দার ভিডিও ফুটেজে উত্তর কোরিয়ার বদলে দেখা প্রদর্শিত হয় চিরশত্রু দক্ষিণ কোরিয়ার পতাকা। জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের সময় খেলোয়াড়রা দেখেন তাদের দলের ছবির পাশে নিজ দেশের নয়; প্রদর্শিত হচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়ার পতাকা। এতে খুবই ক্ষিপ্ত হন তারা। প্রতিবাদে মাঠে নামতে অস্বীকৃতি জানান খেলোয়াড়রা। শেষপর্যন্ত আলোচনা ও কর্তৃপক্ষ চাওয়ায় প্রায় এক ঘণ্টা পর খেলতে রাজি হয় তারা।
বিব্রত পরিস্থিতির পর মাঠে নেমে কলম্বিয়ার বিপক্ষে ২-০ গোলে জিতেছে উত্তর কোরিয়া। দলের কোচ সিন উই গুন বলেন, ‘আমরা খুবই ক্ষিপ্ত হয়েছিলাম। কারণ আমাদের খেলোয়াড়রা পরিচিত হচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিযোগী হিসেবে। এটা আমাদের খুবই কষ্ট দিয়েছে।’
ভুল স্বীকার করে আয়োজকরা বলেছে, ‘আমরা উত্তর কোরিয়া দল ও জাতীয় অলিম্পিক কমিটির কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। এমন ঘটনা যেন পুনরায় না ঘটে সেটি নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ভুল দেশের জাতীয় পতাকা প্রদর্শন এবারই প্রথম ঘটেনি অলিম্পিকে। ২০১০ সালে ভ্যাঙ্কুভার অলিম্পিকে অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় পতাকার সঙ্গে প্রদর্শন করা হয় বক্সিং কাঙ্গারুকে। যেটা ছিলো দেশটির দলের মাসকট। যদিও অলিম্পিক কমিটির নিয়ম হচ্ছে জাতীয় পতাকা প্রদর্শন।
২০০০ সালে সিডনি অলিম্পিকে ৪০০ মিটার ফাইনালে জয়ের পর স্প্রিন্টার ক্যাথি ফ্রিম্যান গায়ে আদিবাসী পতাকা জড়িয়ে ভিক্টোরি ল্যাপ দেন। যেটা আইওসির অফিসিয়াল জাতীয় পতাকা হিসেবে স্বীকৃত ছিলো না। একই প্রতিযোগিতায় উত্তর কোরিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়ার অ্যাথলিটরা যখন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে তখন প্রদর্শন করা হয় সংযুক্ত কোরিয়ার পতাকা।