আওয়ামী লীগের ক্ষমতাকালীন সময়ে দেশের অনেক গুরুত্বপুর্ন কাজে হাত দিয়েছে ও অনেকগুলি সম্পন্নও করেছে। যা করা উচিত ছিল পাকিস্তান আমল থেকে। বঙ্গবন্ধুকে যদি হত্যা করা না হত তাহলে বাংলাদেশ এখন উন্নত বিশ্বের কাতারে থাকতো। এখন যে কাজ হচ্ছে বঙ্গ বন্ধু তাই করতেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর একটি এন্টি আওয়ামী লীগ গোস্ঠী তৈরী হয়েছে যা আগেও ছিল কিন্তু এখন জোরদার হয়েছে। আওয়ামী লীগের সাথে মিশে আছে কিন্তু ভিতরে ভিতরে আওয়ামী লীগের বিরোধী। আওয়ামী লীগের প্রধান চালিকা শক্তি তার তৃনমুল। কিন্তু অধিকাংশ এলাকায় এমপি সাহেবরা তাদের নিজস্ব লীগ গঠন করার কারনে তৃনমুল আওয়ামী লীগের কর্মীরা দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ যথাসম্ভব বাংলাদেশেকে ধর্মভীরু লোকের দেশ হিসাবে বিবেচনায় এনে ধর্মীয় পৃস্টপোষকতা করছে ও কিছু জনসমর্থন বাড়ানোর চেস্টা করছে। তাতে ফল কতটুকু হবে আওয়ামী লীগের কোনো জরিপেই তা জানার কথা। দেশে দুর্নীতি হচ্ছে মানুষ তা দেখছে ও বিশ্বাসও করছে। আওয়ামী লীগের সমস্ত অর্জন ব্যর্থতায় পর্যবষিত হচ্ছে। আওয়ামী লীগের কোনো জরিপ আছে কিনা জানা নাই একমাত্র শেখ হাসিনা যদি কোনো জরিপ করে থাকেন সেটিই সঠিক বাকীগুলি চাটুকারিতায় পরিপুর্ন। আমি মনে করি দিনশেষে আওয়ামী লীগের কর্মী ছাড়া আর কেউ আওয়ামী লীগের সাথে নেই। তাহলে তাদের প্রতি কেন এই অবহেলা না ভুঁইফোড় নেতাদের কারসাজি। আওয়ামী লীগকে তার নিজস্ব ফর্মে ফিরে যেতে হবে। নিজের লোকদের মুল্যায়ন করতে হবে। তারাই যে কোনো অপশক্তিকে মোকাবিলা করতে সক্ষম।বেহেস্ত থেকে যদি আওয়ামী লীগ সুখশান্তি আমদানী করে তারপরেও যে আওয়ামী লীগ বিরোধী সে আওয়ামী লীগ বিরোধীই থাকবে। যোগ্য ও সৎ আওয়ামী লীগারদের দলে স্হান করে দিতে হবে। যদি Master likes always foolish servants. এই নীতি অনুসরন করা হয় মুসলিম লীগ হতে আওয়ামী লীগের বেশীদিন সময় লাগবে না।
অতিথী লেখক
রফিক পারভেজ
সভাপতি
ভার্জিনিয়া স্ট্যাট আওয়ামীলীগ, ইউএসএ