ব্রেন্ডন স্টার্ক যখন টোকিওর অলিম্পিক স্টেডিয়ামে সোনার লড়াইয়ে হাই জাম্প দিচ্ছিলেন, তখন ঢাকার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে মোইবালের স্ক্রিন সামনে রেখে বসেছিলেন অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটাররা। শুধুমাত্র অস্ট্রেলিয়ার হাই জাম্পার হিসেবেই নয়, ব্রেন্ডন স্টার্ক যে অসি ক্রিকেটার মিচেল স্টার্কের ছোট ভাই!
কিন্তু শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। এই ইভেন্টে সোনার পদক জিতেছেন দু’জন। ইতালির জিয়ানমারকো তাম্বেরির সঙ্গে কাতারের মুতাজ এসা বারশিম সোনা জেতেন। তারা দু’জনই ২.৩৭ মিটার উচ্চতায় জাম্প দেন। এরপর দু’জনেই সোনা জেতেন। এই ইভেন্টে এর চেয়ে বেশি আর কেউ জাম্প দিতে পারেননি। ফলে, দু’জনকেই বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
অল্পের জন্য পদক হাতছাড়া করলেন ব্রেন্ডন স্টার্ক। অলিম্পিকে পদকের জন্য মিচেল স্টার্কের ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে ছিল পুরো অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু সে আশা পূরণ করতে ব্যর্থ হলেন ব্রেন্ডন স্টার্ক।
রোববার অলিম্পিকের হাইজাম্পের চূড়ান্ত পর্বের লড়াইয়ে সোনার পদকের জন্য নেমেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার এই অ্যাথলেট। কিন্তু পঞ্চম স্থানে এসে থামতে হলো তাকে। তিনি ২.৩৫ মিটার জাম্প দেন।
একটা সময় পা ভেঙে যাওয়ার কারণে খেলা থেকে সরে গিয়েছিলেন ইতালির জিয়ানমারকো তাম্বেরি। পরে মাঠে ফিরে সোনার পদক জিতলেন তিনি। সোনা জেতার পরে কেঁদে ফেলেন তাম্বেরি। এই ইভেন্টে ব্রোঞ্জ জেতেন বেলারুসের প্রতিযোগী মাকসিম নেদাসেকাউ। তবে এদিন মাকসিমও ২.৩৭ মিটার জাম্প দিয়েছিলেন; কিন্তু তিনি কাতার ও ইতালির প্রতিযোগীর চেয়ে বেশি চেষ্টা করায় ব্রোঞ্জ পদক জেতেন।
কোনও চেষ্টা ছাড়াই ২.৩৭ মিটার জাম্প দিতে সক্ষম ছিলেন তাম্বেরি ও বারশিম। শেষে ২.৩৯ মিটারে জাম্প দিতে দু’জনেই ব্যর্থ হন। সে কারণেই দু’জনকে একসঙ্গে সোনার পদক দেওয়া হল। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়া ভেবেছিল ব্রেন্ডনের হাত ধরে অলিম্পিকে আরও একটি পদক জিতবে তারা, কিন্তু সেই আশা শেষ হয়ে গেল এ দিন।