রেল ও যোগাযোগ মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি রবিবার সকালে ফেনী থেকে ব্রাড়্গনবাড়ীয়া যাওয়ার পথে ফেনী ট্রমা সেন্টারে আকষ্মিক সফরে ট্রমা সেন্টারের দূর্দশা দেখে বলেন, ট্রমা সেন্টার গুলো এখন নিজেরাই পক্ষাঘাত রোগী। এসব সেন্টারে সড়ক দূর্ঘটনায় আহতরা কোন সুফল পায় না। স্বাস্থ্য বিভাগ এ সেন্টারটি পূর্ণাঙ্গভাবে চালু না করা ও তদারকির অভাবে সরকার প্রতিবছর এ খাত থেকে কোটি কোটি টাকার লোকসান গুনতে হচ্ছে।
জানা যায়, ২০০৬ সালে ঢাকা-চট্রগ্রাম ও ফেনী-নোয়াখালী-লক্ষীপুর মহাসড়কে ২০ শয্যার একটি ট্রমা সেন্টার নির্মান করা হয়। বর্তমানে এ সেন্টারে একজন চিকিৎস, ১৫ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী কর্মরত থকলেও প্রতিদিন এ সড়ক গুলোতে দূর্ঘটনায় আহতরা চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে না।
ফেনী ট্রমা সেন্টার’র পরামর্শক চিকিৎসক ডাঃ কামাল উদ্দিন জানান, ২০০৬ সালে সেন্টারটি আউটডোর চালুর পর সড়ক দূর্ঘটনায় আহত একজন রোগীও এখান থেকে চিকিৎসা সেবা গ্রহন করেনি। নির্মানের পর থেকে এখনও ইনডোর চালু হয়নি। পর্যাপ্ত মালমাল না থাকায় আবাসিক কর্মচারীদের রোগীদের বিছানায় থাকতে হচ্ছে।
ফেনী ট্রমা সেন্টার পরিদর্শন কালে মন্ত্রীর সাথে ফেনী জেলা প্রশাসক মোঃ হুমায়ুন কবির খন্দকারসহ সংশিস্নষ্ঠ কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।