ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া নিয়ন্ত্রণে সর্বস্তরের জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম।
আজ রোববার (১ আগস্ট) সকালে রাজধানীর উত্তরা ১২ এবং ১৩ নম্বর সেক্টরের মোড় গাউসুল আজম এভিনিউ এলাকায় এডিস মশা, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধের লক্ষ্যে মশক নিধনে চিরুনী অভিযান ও জনসচেতনতামূলক কার্যক্রমে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, আমাদের সকলকেই লজ্জা পরিহার করে প্রতি শনিবার সকাল ১০টা ১০ মিনিট স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজ নিজ বাসাবাড়ি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে হবে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১০টি অঞ্চলের ৫৪টি ওয়ার্ডে একযোগে ২৭ জুলাই থেকে ৭ আগস্ট পর্যন্ত শুক্রবার ব্যতীত ১০ দিন মশক নিধনে চিরুনী অভিযানসহ জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
সরকারি-বেসরকারি যেকোনো ভবনে এডিস মশার উৎপত্তিস্থল চিহ্নিত হলেই জরিমানাসহ প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে জানিয়ে মেয়র বলেন, নিজেদের বাসাবাড়িতে ফুলের টব, অব্যবহৃত টায়ার, ডাবের খোসা, বিভিন্ন ধরনের খোলা প্যাকেট বা পাত্র, ছাদ কিংবা অন্য কিছুতে যাতে তিন দিনের বেশি পানি জমে না থাকে সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। এডিস মশার বংশবিস্তাররোধে ‘তিনদিনে এক দিন, জমা পানি ফেলে দিন’।
বক্তব্য শেষে ডিএনসিসি মেয়র নগরবাসীর মাঝে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এডিস মশা, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া বিরোধীবিভিন্ন ব্যানার ও ফেস্টুনে সুসজ্জিত খোলা ট্রাকে করে উত্তরার বিভিন্ন এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনকালে ডিএনসিসির ৫২ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তরা ১৮ নম্বর সেক্টরে দিয়াবাড়ী এলাকায় অবস্থিত রাজউক নির্মিত ভবনগুলোর আশপাশে এডিস মশা বংশবিস্তারের সহায়ক পরিবেশ পরিলক্ষিত হওয়ায় রাজউকের চেয়ারম্যানকে দুই দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য মোবাইল ফোনে দিকনির্দেশনা দেন।
এ সময় ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান এবং স্থানীয় কাউন্সিলরেরা উপস্থিত ছিলেন।