আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি তাদের সংবিধান থেকে ৭ ধারা বাদ দিয়ে প্রমাণ করেছে আত্মস্বীকৃত দুর্নীতিবাজদের সংগঠন হচ্ছে বিএনপি। বিএনপি এখন অপপ্রচার পার্টিতে রূপ নিয়েছে। তারা অসহায় মানুষের পাশে না দাঁড়ানোর অক্ষমতা ঢাকতে মিথ্যাচার আর সরকারের বিরুদ্ধে অব্যাহত বিষোদগারকেই হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছে।
আজ শনিবার (৩১ জুলাই) ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটি আয়োজিত চট্টগ্রামে করোনা রোগী ও মরদেহ পরিবহনের জন্য গাউসিয়া কমিটির কাছে অ্যাম্বুলেন্স হস্তান্তর এবং করোনা সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আপাদমস্তক দুর্নীতিগ্রস্ত বিএনপি যখন দুর্নীতি নিয়ে কথা বলে তখন মানুষের মুখে হাসি পায়। আত্মস্বীকৃত দুর্নীতিবাজ দলের এসব মুখরোচক কথার নৈতিক মানদণ্ড নিয়েও মানুষ পরিহাস করে।
বিএনপি নেতাদের কাছে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, তাদের শাসনামলে তারা কোনো স্বীকৃত দুর্নীতিবাজ নেতা, এমপি-মন্ত্রীর বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেওয়ার সাহস দেখাতে পেরেছিল? অন্যদিকে শেখ হাসিনার সে সৎসাহস আছে এবং তা করে দেখিয়েছেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, অনিয়মকারী ও অপকর্মকারী যত বড়ই হন, শেখ হাসিনা সরকার কাউকে ছাড় দেয়নি। দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা সরকারের অবস্থান অত্যন্ত কঠোর, যা ইতোমধ্যেই তিনি প্রমাণ করেছেন।
তিনি বলেন, অন্যদিকে বিএনপির সময়ে দুর্নীতি আর অপকর্ম দেশের সীমানা ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ছড়িয়ে পড়েছিল। বিএনপির ছিল দুর্নীতি তোষণ নীতি আর দলীয়ভাবেই করা হতো দুর্নীতিবাজদের পৃষ্ঠপোষকতা। তাদের শাসনামল আর দুর্নীতি সমার্থক হয়ে গিয়েছিল।
আওয়ামী লীগের এই শীর্ষ নেতা বলেন, মেগা-প্রকল্প বাস্তবায়নে যাদের কোনো সাহস ও সক্ষমতা ছিল না তাদের মেগাপ্রকল্প দেখে ঈর্ষায় কাতর হওয়াই স্বাভাবিক। বড় প্রকল্প নিতে সাহস লাগে, লাগে সক্ষমতা এবং প্রয়োজন হয় দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন ও ভিশন। বিএনপির ভিশন ছিল ক্ষমতার বিকল্প কেন্দ্র হাওয়া ভবন তৈরি করে চাঁদাবাজি আর লুটপাট করা।
ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটিকে এ উদ্যোগ গ্রহণের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, আসুন সবাই মিলে একজন মানবিক ও দূরদর্শী নেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে করোনা মহামারি থেকে দেশবাসীর সুরক্ষায় দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, শোকাবহ আগস্টে দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সারাদেশে অসহায় ও খেটে খাওয়া মানুষের পাশে দাঁড়ালে বঙ্গবন্ধুর আত্মা শান্তি পাবে। এই মহাদুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত, অসহায় ও ভাসমান মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে।
করোনার পাশাপাশি ডেঙ্গুও এখন সমস্যা হয়ে পড়েছে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের সভাপতিত্বে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে উপস্থিত ছিলেন দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, কেন্দ্রীয় কার্যকরী সদস্য রিয়াজুল কবির কাউছার ও সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম প্রমুখ।