‘আমিনুল হত্যা: পোশাক রফতানি কমে যাওয়ার আশঙ্কা নেই’

‘আমিনুল হত্যা: পোশাক রফতানি কমে যাওয়ার আশঙ্কা নেই’

শ্রমিক নেতা আমিনুল হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তৈরি পোশাক রফতানি কমে যাওয়ার আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন শ্রম, প্রবাসী ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

বুধবার শ্রম, প্রবাসী ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানিকারকের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা জানান। এসময় ব্যবসায়ী সংগঠন এফবিসিসিআই’র সভাপতি এ কে আজাদসহ বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ’র প্রতিনিধিরা  উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী বলেন, “সম্প্রতি গার্মেন্ট শ্রমিক নেতা আমিনুল হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিভিন্ন মহল আশঙ্কা প্রকাশ করেছে যে, দেশের তৈরি পোশাক রফতানিতে এর প্রভাব পড়বে। আজকের বৈঠকে বিদেশি আমদানিকারকদের (বায়ার) সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে ক্রেতারা এমত ব্যক্ত করেছেন যে, ওই ঘটনা পোশাক আমদানির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়। তবে ওই ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত ও বিচার তারা আশা করছেন।”

মন্ত্রী আরও বলেন, “বায়ারদের আমি জানিয়েছি, আমিনুল হত্যাকারীদের খুঁজে বের করতে পুলিশ প্রশাসন কাজ করছে। সরকার আমিনুল হত্যার ঘটনাটি গুরুত্ব দিয়ে এর তদন্ত করছে।”

শ্রমিক অন্তোষ বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শ্রম মন্ত্রী বলেন,  “শ্রমিকদের বেতন নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। সমস্যা হচ্ছে শ্রমিক ও মালিকদের মাঝখানে যারা ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করছেন তাদের সঙ্গে। শ্রমিকদের কাছ থেকে অভিযোগ এসেছে ব্যবস্থাপনায় যারা থাকেন তারা রূঢ় আচরণ করেন।”

মন্ত্রী বলেন, “বাড়ি-ভাড়া বৃদ্ধির কারণেও শ্রমিকদের ক্ষোভ রয়েছে। শ্রমিকরা যেসব এলাকায় থাকেন ওইসব এলাকায় ক’দিন পরপর বাড়ি-ভাড়া বাড়িয়ে দেন বাড়ির মালিকরা। ফলে শ্রমিকরা বিপাকে পড়েন। কারণ তাদের বেতন তো সেভাবে বৃদ্ধি পায় না।”

প্রসঙ্গক্রমে মোশাররফ হোসেন বলেন, “সরকার শ্রমিকদের আবাসিক ব্যবস্থা করার জন্য একশো কোটি টাকার একটি ফান্ড তৈরি করেছে। গার্মেন্ট মালিকরা মাত্র এক শতাংশ সুদে ফান্ড থেকে ঋণ নিয়ে শ্রমিকদের জন্য আবাসিক ভবন নির্মাণ করতে পারবেন।”

এছাড়াও যেসব এলাকায় গার্মেন্ট শ্রমিকেরা থাকেন, ওইসব এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে বাড়ির মালিকদের বাড়ি-ভাড়া আইন পালন করতে বাধ্য করতে জেলাপ্রশাসকদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে মন্ত্রী জানান।

শ্রমিকদের রেশনিংয়ের দাবির বিষয়ে শ্রম মন্ত্রী বলেন, “খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে শ্রমিকদের রেশন দেয়ার বিষয়ে আলোচনা চলছে। আসন্ন ঈদ উপলক্ষে গার্মেন্ট শিল্পে কোনো অস্থিরতা যেন বিরাজ না করে লক্ষ্যে মালিকপক্ষকে বলা হয়েছে– শ্রমিকদের যথাসময়ে বেতন-বোনাস দিয়ে দিতে।”

 

অর্থ বাণিজ্য