অসম্মান ও গ্লানি হতে নিজেদের উত্তরণ ঘটিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের রাজস্ব বিভাগ এখন প্রশংসিত ও সমাদৃত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নগর ভবনের মেয়র হানিফ অডিটরিয়ামে করপোরেশনের রাজস্ব বিভাগের ষন্মাসিক সম্মেলনে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এই মন্তব্য করেন।
ডিএসসিসি মেয়র বলেন, আমি যেদিন প্রথম আসি সেদিন দুজনকে বিদায় দিতে হয়েছে। এর মধ্যে একজন ছিল রাজস্ব বিভাগের। সুতরাং রাজস্ব বিভাগের ছিল অসম্মান, রাজস্ব বিভাগের ছিল গ্লানি। আর এখন রাজস্ব বিভাগ প্রশংসা পাচ্ছে, সমাদৃত হচ্ছে।
সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করলে সকল স্তরে সম্মানিত হওয়া যায় উল্লেখ করে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, আমরা সবাই চলে যাবো। কিন্তু কাজটা যদি আমরা সততা, আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে করি তবে তা আমাদের জন্য সম্মান বয়ে আনবে। জীবনের শেষে এটুকুই থাকবে, জীবনে এটুকুই সত্যিকারের অর্জন। বাকী সবটুকুই হাওয়া হয়ে যাবে। রাজস্ব বিভাগকে আমরা সেই জায়গায় ফিরিয়ে আনতে পেরেছি, সম্মানের একটা ভিত রচনা করতে পেরেছি। আমি আশাবাদী, ভবিষ্যতে ঢাকাবাসীকে আমরা আরও বেশি সুফল দিতে পারব। যার মাধ্যমে রাজস্ব বিভাগের সম্মান আরও বৃদ্ধি পাবে।তখন রাজস্ব বিভাগের কর্মকর্তাদের কেউ হেয় প্রতিপন্ন করবে না বরং সমাদর করবে, সম্মান করবে, শ্রদ্ধা করবে। সেই জায়গায় আপনারা যাবেন। আমি বিশ্বাস করি, সেটা আপনাদের মাধ্যমেই সম্ভব।
এ সময় গৃহ কর (হোল্ডিং ট্যাক্স) আদায়ে মাঠ পর্যায়ে আরও বেশি তৎপর হওয়ার নির্দেশনা দিয়ে ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, “আমাদের যে তালিকাভুক্ত হোল্ডিং আছে, এর বাইরেও একটা বৃহৎ অংশ রয়ে গেছে। আমরা চাইব, সেগুলোকে এ বছর তালিকায় নিয়ে আসার জন্য এবং সেখান থেকে আদায় করার জন্য।”
এখনও বিভিন্ন অজুহাতে অনেকে বাণিজ্য অনুমতি (ট্রেড লাইসেন্স) নিচ্ছেন না জানিয়ে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, দুই লক্ষ ৩২ হাজার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আমাদের তালিকাভূক্ত বাণিজ্য অনুমতি নিয়েছে। কিন্তু এর বাইরে প্রায় ২ লক্ষ প্রতিষ্ঠান রয়ে গেছে। তাদেরকেও আমাদের বাণিজ্য অনুমতি নিতে হবে, কোন অজুহাতে আমাদেরকে বঞ্চিত করা যাবে না। সেই বিষয়টাও আপনাদেরকে নিশ্চিত করতে হবে।
প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ ও সচিব আকরামুজ্জামান বক্তব্য রাখেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাগণ, রাজস্ব বিভাগের কর কর্মকর্তা, উপ-কর কর্মকর্তা, রেভিনিউ সুপারভাইজার, বিজ্ঞাপন ও লাইসেন্স সুপারভাইজার, রেন্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।