অবশেষে বিশ্বব্যাংকের প্রস্তাবেই সম্মত হলো দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। পদ্মাসেতু প্রকল্পের কথিত দুর্নীতির বিষয়ে তদন্তের পূর্ণাঙ্গতা, যথার্থতা, স্বচ্ছতা এবং সততা রক্ষা করতে বিশ্বব্যাংকের প্রস্তাবে তারা সম্মত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন দুদকের চেয়ারম্যান গোলাম রহমান।
বিশ্বব্যাংককে সহযোগিতার বিষয়ে বুধবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে দুদক চেয়ারম্যান গোলাম রহমান বলেন, ‘‘পদ্মাসেতু প্রকল্পের কথিত দুর্নীতির অনুসন্ধান ও তদন্তের বিষয়ে দুদকের সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের আলোচনা হয়। এ বিষয়ে সরকারের সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে। বিশ্বব্যাংক কমিশনের অনুসন্ধান ও তদন্ত কাজে সহযোগিতা প্রদানের উদ্দেশ্যে ‘আন্তর্জাতিক তদন্ত প্রসিকিউশন’-দক্ষ ৩ সদস্যের একটি দক্ষ অনুসন্ধানী দল গঠনের প্রস্তাব করে। সরকার যদি বিশ্বব্যাংকের এ প্রস্তাবে সম্মত হয়, তাহলে দুদক এ কমিটির সঙ্গে তথ্যের সহযোগিতাসহ সব ধরণের সহযোগিতা করবে।’’
প্রসঙ্গত, বিশ্বব্যাংকের সর্বশেষ বিবৃতিতে দুদকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছিল-পদ্মাসেতুর দুর্নীতি নিয়ে তথ্য বিনিময়ে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল দুদক। বিশ্বব্যাংক আরও অভিযোগ করে জানিয়েছে দুদক তাদের কোনো ধরনের সহযোগিতা করেনি।
বুধবার দুদক সম্পর্কে বিশ্বব্যাংকের এ অভিযোগের বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে কমিশনের চেয়ারম্যান গোলাম রহমান বলেন, ‘‘এটা গ্যাপ অব আন্ডারস্ট্যান্ডিং। এক পর্যায়ে আমাদের মনে হয়েছিল, বিশ্বব্যাংক যে প্রস্তাব করেছে, তাতে কমিশনের স্বাধীনতা ক্ষুন্ন হতে পারে।’’
এর আগে গত ১ জুলাই পদ্মাসেতুর দুর্নীতি নিয়ে ‘বিশ্বব্যাংকের অভিযোগ অযৌক্তিক, অন্যায্য ও অবিবেচনাপ্রসূত’ বলে অভিযোগ করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান গোলাম রহমান।
ওই দিন দুদকের সভা কক্ষে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘বিশ্বব্যাংক দুদককে সহযোগিতা করেনি। আমরা তাদের কাছে তথ্য জানতে চেয়েছি। তারা জানায়নি।’’
তবে বুধবার তিনি বলেন, তদন্তের পূর্ণাঙ্গতা, যথার্থতা, স্বচ্ছতা এবং সততা রক্ষা করতে বিশ্বব্যাংকের প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে দুদক। কমিশনের স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষতা যাতে খর্ব না হয়, সেদিক লক্ষ্য রেখে সরকার ও বিশ্বব্যাংক এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করবে বলেও জানান দুদক চেয়ারম্যান।