হেজবুল্লাহকে কালো তালিকাভূক্ত করার আবেদন ইইউ’র প্রত্যাখ্যান

হেজবুল্লাহকে কালো তালিকাভূক্ত করার আবেদন ইইউ’র প্রত্যাখ্যান

লেবাননের রাজনৈতিক শিয়া গ্রুপ হেজবুল্লাহকে ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা দিয়ে কালো তালিকাভূক্ত করার জন্য ইসরায়েলের করা আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।

গত সপ্তাহে বুলগেরিয়ায় একটি বাসে হামলায় পাঁচ ইসরায়েলি পর্যটক নিহত হওয়ার ঘটনায় এ গ্রুপটি জড়িত আছে দাবি করে দলটিকে কালো তালিকাভূক্ত করার দাবি জানায় ইসরায়েল।

তবে গত মঙ্গলবার ইইউ ইসরায়েলের এ আবেদনের ব্যাপারে একমত হতে পারেনি। এ ব্যাপারে এ ইউরোপীয় সংগঠনের বর্তমান প্রধান সাইপ্রাসের (গ্রিক) পররাষ্ট্রমন্ত্রী এরাতো কোজাকো মারকুলিস বলেন, “হেজবুল্লাহকে সন্ত্রাসী গ্রুপের তালিকাভূক্ত করার ব্যাপারে ঐক্যমতে পৌঁছা যায়নি।”

গত সপ্তাহের বুধবার বুলগেরিয়ার কৃষ্ণসাগর সংলগ্ন বুরগাস বিমানবন্দরে এক আত্মঘাতী হামলায় গাড়ির চালকসহ পাঁচ ইসরায়েলি নিহত হয়। এ হামলার জন্য ইসরায়েল ইরান এবং লেবাননের হিজবুল্লাহ দলকে দায়ী করছে।

গত মঙ্গলবার ইসরায়েল-ইইউ বার্ষিক আলোচনায় ইসরায়েলের ওই অভিযোগ ও দাবি নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠক শেষে ইইউ প্রেসিডেন্ট ও ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আভিগদর লিবারমান যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেন। এসময় ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “হেজবুল্লাহকে ইউরোপে সন্ত্রাসী তালিকাভূক্ত করার এটাই সময়।”

এ সিদ্ধান্ত নিলে তা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও ইসরায়েলি জনগণের প্রতি একটি সঠিক সংকেত দেবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

তবে ইইউ প্রেসিডেন্ট তার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে বলেন, “হেজবুল্লাহ একটি সংগঠন যাদের একটি সশস্ত্র শাখা আছে এবং তারা লেবাননের রাজনীতিতে সক্রিয়।”

এসব বিষয় বিবেচনায় দলটিকে সন্ত্রাসী তালিকাভূক্ত করার ব্যাপারে কোনো ঐকমত্য হয়নি বলে জানান তিনি।

তবে হেজবুল্লাহর কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার বোধগম্য প্রমাণ পাওয়া গেলে ইইউ তা বিবেচনা করবে বলে জানান কোজাকো মারকুলিস।

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং ব্রিটেন ইতোমধ্যে হেজবুল্লাহকে তাদের সন্ত্রাসী তালিকাভূক্ত করেছে।

এখন ইইউ’র সন্ত্রাসী তালিকায় একে অন্তর্ভূক্ত করতে হলে ২৭ সদস্যের সবার ঐকমত্য দরকার হবে।

আন্তর্জাতিক