আলেপ্পোর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে তুমুল লড়াই অব্যাহত

আলেপ্পোর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে তুমুল লড়াই অব্যাহত

সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় আলেপ্পো নগরীতে সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে সংর্ঘষ চরম আকার ধারণ করেছে। নগরীতে নিয়ন্ত্রণ পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে বর্তমানে সেখানে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েনের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে সিরীয় শাসকচক্র। ইতিমধ্যেই তুর্কি সীমান্তে মোতায়েন সিরীয় সেনাদের আলেপ্পোর দিকে পাঠানো হচ্ছে বলে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন সরকার বিরোধী কর্মী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা।

গত কয়েকদিনে আলেপ্পোর অনেক স্থান থেকে সরকারি বাহিনী পিছু হটেছে বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার নগরীর জাবাল আল জাইয়া এলাকায় বিদ্রোহীরা পিছু হটতে থাকা সরকারি সেনাদের একটি কলামের ওপর হামলা চালায় বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম।

গত এক সপ্তাহ ধরে চলা আলেপ্পোর লড়াইয়ে নিয়ন্ত্রণ পুনরায় প্রতিষ্ঠার জন্য বিদ্রোহীদের ওপর জঙ্গি বিমান ও হেলিকপ্টার ব্যবহার করছে সিরীয় বাহিনী।

এদিকে রাজধানী দামেস্কেও উভয় পক্ষের মধ্যে লড়াই এখনও অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছে বিদ্রোহীরা। তবে বিদ্রোহীদের রাজধানী থেকে হটিয়ে দেওয়ার দাবি করেছে সরকারি বাহিনী। তবে এখনও সেখানে বিভিন্ন স্থানে হেলিকপ্টার থেকে গোলাবর্ষন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে প্রত্যক্ষদর্শীরা।

বিদ্রোহীদের দমনে দামেস্কে ব্যাপক সেনা অভিযান চালায় সরকার। উভয় পক্ষের সংঘাতে সেখানে শত শত লোক নিহত হয় যাদের অধিকাংশই বেসামরিক।

রাজধানী দামেস্ক ও আলেপ্পো নগরীর ওপর কোন পক্ষের কতটুকু নিয়ন্ত্রণ আছে তা এখনও পরিষ্কার নয় বলে জানিয়েছে পর্যবেক্ষকরা। উভয় পক্ষই সেখানে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ দাবি করছে।

তবে লড়াই দামেস্কে কিছুটা স্তিমিত হয়ে এলেও এখন তা কয়েক শত মাইল উত্তরের আলেপ্পো নগরীতে জোরদার হয়েছে। মঙ্গলবার সিরিয়ার জঙ্গি বিমান আলেপ্পোতে হামলা চালিয়েছে বলে জানা গেছে। সিরিয়ার সহিংসতায় এই প্রথম জঙ্গি বিমান ব্যবহার করা হলো।

এদিকে তুর্কি সীমান্ত থেকে বিপুল সংখ্যক সেনা প্রত্যাহার করে আলেপ্পোর দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে দাবি করে সরকার বিরোধীরা। বিদ্রোহী ফ্রি সিরিয়ান আর্মির মুখপাত্র কর্নেল আব্দেল জব্বার আল ওকাইদি বলেন সরকার আলেপ্পোতে তাদের অবস্থান ধরে রাখতে প্রাণান্ত চেষ্টা করে যাচ্ছে। কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ আলেপ্পো তুর্কি সীমান্ত থেকে মাত্র ৬০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

সম্প্রতি বিদ্র্রোহীরা সিরিয়ার ৯শ’ কিলোমিটার সীমান্তের অনেক অংশের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে। এ সময় সীমান্ত পয়েন্টগুলোতে সেনা বিদ্র্রোহী ব্যাপক সংঘাত ঘটে।

লড়াই অব্যাহত থাকায় তুরস্ক এর আগে সীমান্ত ক্রসিং গুলো বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দিলেও শরণার্থীদের জন্য সীমান্ত এখনও খোলা আছে বলে জানিয়েছে তারা।

এদিকে আরও দুই সিরীয় কূটনতিক পক্ষত্যাগ করেছেন। সাইপ্রাস নিযুক্ত সিরীয় প্রতিনিধি লামিয়া আল হারিরি এবং তার স্বামী সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত সিরীয় রাষ্ট্রদূত আব্দেল লতিফ দাবাঘ পক্ষত্যাগ করে সরকার বিরোধীদের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেছেন বলে জানা গেছে।

আন্তর্জাতিক