চীনের সঙ্গে শিগগিরই টিকার যৌথ উৎপাদন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

চীনের সঙ্গে শিগগিরই টিকার যৌথ উৎপাদন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

চীনা কোম্পানির সঙ্গে বাংলাদেশে স্থায়ীভাবে করোনাভাইরাসের টিকা শিগগিরই উৎপাদন শুরু হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। টিকার যৌথ উৎপাদনের লক্ষ্যে এরই মধ্যে কিছু আনুষঙ্গিক কাজ শুরু হয়েছে বলেও জানান তিনি।

আজ শনিবার (২৪ জুলাই) ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতো জাপান থেকে আসা অ্যাস্ট্রাজেনেকার ২ লাখ ৪৫ হাজার ডোজ টিকা পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমেনের কাছে হস্তান্তর করেন। এরপর বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

এসময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের টিকা উৎপাদন করবে চীন। শিগগিরই বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের টিকা যৌথভাবে উৎপাদন শুরু হবে। আমাদের সব কাগজপত্র তৈরি আছে। চুক্তিপত্রও পেয়েছি। যেকোনো মুহূর্তে আমরা চীনের সঙ্গে যৌথভাবে টিকা উৎপাদন শুরু করবো।

ড. মোমেন বলেন, টিকা উৎপাদনের জন্য আগাম কোনো অবকাঠামো পরিদর্শন করার প্রয়োজন নেই। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশে চীনের টিকা কো-প্রোডাকশন করার জন্য পররাষ্ট্র ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।ভবিষ্যতে করোনা টিকার আর কোনো সংকট হবে না।

জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, আগামী ১ মাসের মধ্যে আরও প্রায় ২৮ লাখ ডোজ টিকা জাপান থেকে বাংলাদেশে আসবে।

উল্লেখ্য, শনিবার বেলা ৩টা ১৫ মিনিটের পর জাপান থেকে বাংলাদেশে পৌঁছে অক্সফোর্ড–অ্যাস্ট্রাজেনেকার ২ লাখ ৪৫ হাজার ২০০ ডোজ করোনাভাইরাসের টিকা। টিকার বৈশ্বিক উদ্যোগ কোভ্যাক্সের মাধ্যমে জাপান সরকার এসব টিকা বাংলাদেশকে উপহার হিসেবে পাঠিয়েছে।

বাংলাদেশ শীর্ষ খবর