প্রণবকে নিয়ে বাঙালিপাড়ায় আনন্দ

প্রণবকে নিয়ে বাঙালিপাড়ায় আনন্দ

প্রণব মুখোপাধ্যায় ভারতের রাষ্ট্রপতি হলেন। এই প্রথম একজন বাঙালি এপদে সমাসীন হলেন। বিশ্বজুড়ে বাঙালিপাড়ায় এ নিয়ে উল্লাস স্বাভাবিক। তাছাড়া তিনি নড়াইলের জামাইবাবু।ওখানকার মানুষ খুশিতে মিষ্টি বিতরণ করেছেন, রীতিমতো আনন্দ-উৎসব করেছেন।

অতি সজ্জন, ধার্মিক আর একেবারে সাধাসিধা চালচলন তার । কিন্তু অসাধারণ ব্যক্তিত্বসম্পন্ন রাজনীতিক।

নয়াদিল্লিতে ২০০৫-এর জানুয়ারিতে তার সঙ্গে আমার দেখা। হয়তো বাঙালি বলেই এ সুযোগ পাই। রাতে মন্ত্রিপাড়ায় তার বাসায় গিয়ে ড্রয়িংরুম একেবারে খালি দেখে তাজ্জব বনে যাই।

এতবড় একজন মন্ত্রী, অথচ বাসায় ভিড় নেই! আমাদের মন্ত্রীদের বাড়িতে তো ক্যাডারদের জ্বালায় ঢোকার সুযোগ নেই। তার সঙ্গে কথা বলার আমি তার পদধূলি নিতে চাইলে তিনি সানন্দে রাজি হলেন। মা-বাবার মৃত্যুর অনেকদিন পর আমি কাউকে পা-ছুঁয়ে প্রণাম করলাম।

এরপর বেশ` কবার দাদার সঙ্গে নিউইয়র্কে দেখা হয়েছে।

একবার তাঁকে জিগ্যেস করি, “দাদা, আপনার সঙ্গে  আমার ছবি কি কোনো কাগজে ছাপিয়ে দেব?“ তিনি বললেন, “আমার কোনো্ সমস্যা নেই।“

শুধু আমি কেন, বাংলাদেশের অনেকেই তার সঙ্গে সম্পর্ক রাখেন। অনেকেই ওপরে ওঠার সিঁড়ি হিসাবে তার আশীর্বাদপ্রার্থী ছিলেন; এখনো আছেন। ক্ষমতার রাজনীতিতে তার প্রভাব অনেক।

বোঝা যায়, তাঁর কাছে অনেকের আবদার আছে। আর তিনিও কাউকে `না` করতে পারেন না। রাজনীতির বাইরেও বাংলাদেশের প্রতি তার একটা আলাদা টান আছে। শত হলেও বাঙালি তো!

আর একটা কথা না বললেই নয়। প্রণব মুখোপাধ্যায় প্রায় সারাটা জীবন দিল্লির ক্ষমতা কাঠামোর কাছাকাছি ছিলেন। কিন্তু তার আশীর্বাদপুষ্ট অনেকের মত তিনি কখনো সে প্রভাব খাটিয়ে নিজের আখের গোছাননি।

২০০৮-এর অক্টোবরের পর তাঁর সঙ্গে আর দেখা হয়নি। তিনি রাষ্ট্রপতি হওয়ায় অন্যসব বাঙালির মত আমিও দারুণ খুশি।

 

বাংলাদেশ