বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম ও দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত

বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম ও দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত

বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ঈদুল আজহার দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ইমামতি করেন জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মুহিব্বুল্লাহিল বাকী নদভী। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররমের মুয়াজ্জিন হাফেজ ক্বারী কাজী মাসুদুর রহমান।

বুধবার (২১ জুলাই) সকাল ৮টায় দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

এর আগে সকাল ৭টায় ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররমের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মিজানুর রহমান, মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন মসজিদের মুয়াজ্জিন মো. আতাউর রহমান। ঈদের দুই রাকাত নামাজের পর অনুষ্ঠিত হয় বিশেষ খুতবা। খুতবা শেষে মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয় ঈদের প্রথম জামাত।

জামাতের আগে খুতবা ও বয়ানে কোরবানির তাৎপর্য তুলে ধরা হয়। নামাজ শেষে করোনাভাইরাস থেকে মুক্তি, দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় মোনাজাত করেন ইমাম।

ঈদের নামাজ আদায়ে সকাল ৬টা থেকে জায়নামাজ হাতে জাতীয় মসজিদে ভিড় করতে থাকেন মুসল্লিরা। মুসল্লিদের অনেকেই ফাঁকা ফাঁকা হয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দাঁড়াতে দেখা যায়। মস্ক ছাড়া কাউকে মসজিদে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। জাতীয় মসজিদ এলাকায় এবং মসজিদের প্রতিটি গেটে পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। ব্যাগ নিয়ে আসা মুসল্লিদের তল্লাশি করতে দেখা যায় পুলিশ সদস্যদের। তবে নামাজ শেষে কোলাকুলি এড়িয়ে গেছেন অধিকাংশ মুসল্লি।

প্রথম জামাতে অংশ নেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশেনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ড. মো. মুশফিকুর রহমান।

তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়। এতে ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা এহসানুল হক, মুকাব্বির থাকবেন মুয়াজ্জিন হাফেজ ক্বারী হাবিবুর রহমান মেশকাত।

চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। এ জামাতে ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুহিউদ্দীন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে। শেষ জামাতে ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুহাদ্দিস হাফেজ মাওলানা ওয়ালিয়ূর রহমান খান। তার সঙ্গে মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. শহীদুল্লাহ।

উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে ঈদুল ফিতরের মতো ঈদুল আজহায় বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। করোনা সংক্রমণ রোধে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ঈদের জামাত শেষে কোলাকুলি এবং হাত মেলানো থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

অন্যদিকে গত বছরের মতো এবারও হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। হচ্ছে না শত বছরের ঐতিহ্য ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ময়দানের ঈদ জামাতও।

বাংলাদেশ শীর্ষ খবর