অবশেষে মহাকাশচারী হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হলো বিশ্বের শীর্ষধনী জেফ বেজোসের। মঙ্গলবার নিজের প্রতিষ্ঠানের তৈরি মহাকাশযান ‘নিউ শেফার্ড’-এ চড়ে মহাকাশ ভ্রমণ করে এসেছেন তিনি। এই যাত্রায় তার সঙ্গী ছিলেন ভাইসহ আরও তিনজন।
বিবিসির খবর অনুসারে, মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টা ১২ মিনিটে টেক্সাসের ভ্যান হর্নের কাছাকাছি একটি বেসরকারি উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে মহাকাশযানে করে যাত্রা শুরু করেন জেফ বেজোস, তার ভাই মার্ক বেজোস, ৮২ বছর বয়সী ওয়ালি ফাঙ্ক এবং ১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থী অলিভার ডিমেন। এর ঠিক ১১ মিনিট পরেই প্যারাসুটের সাহায্যে পশ্চিম টেক্সাসের মরুভূমিতে নেমে আসেন তারা।
ক্যাপসুলটি মাটিতে নামার পরপরই বেজোস বলেন, ‘অ্যাস্ট্রোনট বেজোস: সবচেয়ে সেরা দিন!’
বেজোসের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ব্লু অরিজিনের তৈরি মহাকাশযান নিউ শেফার্ড। বাণিজ্যিকভাবে মহাকাশ ভ্রমণের লক্ষ্যে বানানো হয়েছে এটি। এর ক্যাপসুলের জানালা এযাবৎকালে মহাকাশে পৌঁছানো সকল মহাকাশযানের জানালার চেয়ে বড়। ফলে অন্যদের চেয়ে আরও সহজে আরও মনোরম দৃশ্য উপভোগ করতে পেরেছেন এর অভিযাত্রীরা।
শুধু মনোরম দৃশ্য উপভোগই নয়, এদিন মহাকাশ ভ্রমণের ইতিহাসও নতুন করে লিখেছেন অভিযাত্রীরা। বেজোসের সফরসঙ্গী ওয়ালি ফাঙ্ক এখন বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বয়সী মহাকাশচারী এবং অলিভার হলেন সর্বকনিষ্ঠ মহাকাশচারী।
যাত্রা শুরুর দুই মিনিট পরেই রকেট থেকে বিচ্ছন্ন হয়ে যায় তাদের যাত্রীবাহী ক্যাপসুলটি। এসময় বেজোসরা প্রায় চার মিনিট ওজনশূন্যতা অনুভব করেছেন এবং সিটবেল্ট খুলে ভেসে বেড়ানো ও দূর থেকে পৃথিবীকে দেখতে পেয়েছেন।