প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচার একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং সন্দেভাজন যুদ্ধপরাধী পাওয়া গেলে তাদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে। তারা যেখানেই থাকুক বাংলার মাটিতে তাদের বিচার হবেই।’
শুক্রবার বাংলা একাডেমীর ৩৪তম সাধারণ সভা ও ফেলোশিপ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে বাংলা একাডেমী আজ সম্মানসূচক ফেলোশিপ প্রদান করে।
প্রধানমন্ত্রী জানান, তার সরকার ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ত্যাগের মাধ্যমে অর্জিত বাঙালির গৌরব পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
জাতির সব আন্দোলন সংগ্রামে বাংলা একাডেমীর অনুপ্রেরণার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘পৃথিবীতে আমরাই একমাত্র জাতি, যারা রক্তের বিনিময়ে মাতৃভাষায় কথা বলার অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছি এবং স্বাধীনতা অর্জন করেছি।’
তিনি বলেন, ‘জাতির জনক ও বাংলার লাখো মানুষ যে স্বপ্ন দেখেছিল, সে স্বপ্ন পুরণের একমাত্র লক্ষ্য অর্জনে আমি কাজ করছি।’
প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি অর্জনের জন্য যার যার অবস্থান থেকে চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের সঙ্গে তাকে ফেলোশিপ দেওয়ায় বাংলা একাডেমী কর্তৃপক্ষকে তিনি ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘আমি মনে করি, আমি একজন সাধারণ বাঙালি নারী, যে কখনো এতবড়ো সম্মান পাওয়ার চিন্তাও করেনি।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক এএফ সালাউদ্দিন আহমেদ।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খানসহ অনেকে।