করোনা শুধু আমাদের দেশ নয়, সারা পৃথিবীকে নাড়া দিয়েছে। সেজন্য আমাদেরও সচেতন হতে হবে। সরকার পুলিশ দিয়ে কত সচেতন করবে, যদি নিজেরা সচেতন না হই।
সোমবার (১২ জুলাই) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা মিডিয়ার মাধ্যমে সব সময় আহ্বান করে আসছি, যাতে জনগণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে। যতক্ষণ পারা যায় মাস্ক পরে থাকতে হবে।
ঈদের সময় গরু ব্যবসায়ী, দোকান মালিকসহ জীবন ও জীবিকার তাগিদে যেগুলো প্রয়োজন, সেগুলো বিবেচনা করেই সরকার ‘লকডাউনের’ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানান মন্ত্রী।
ঈদে গরু বেচাকেনার জন্য ‘লকডাউন’ শিথিল হচ্ছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, এখানে অনেকগুলো কারণ আছে। যেমন খামারিরা যদি পশু বিক্রি করতে না পারে, তাহলে আরও একবছর পরিচর্যা করতে হবে। তারপর দোকান মালিক যারা আছেন, তারা কিন্তু ঈদের জন্যই সারা বছর বসে থাকে। দুই ঈদের বেচাকেনা দিয়েই তারা চলে।
‘এসব কিছু বিবেচনা করেই সরকার জীবিকা ও জীবনের তাগিদে যেগুলো প্রয়োজন, সেগুলো মাথায় রেখেই যা কিছু করার নির্দেশনা দেবে, যা আপনারা শুনতে পাবেন। আমি এখন আর এ বিষয়ে কিছু বলতে চাচ্ছি না। যথাসময়ে এ বিষয়ে যার মধ্যমে পাওয়ার, পাবেন।’
বিধিনিষেধ শিথিলের বিষয়ে পুলিশের প্রতি কী নির্দেশনা থাকবে- জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় শুধু পুলিশ নয়, প্রশাসনের সবাই মাঠে কাজ করছে। মূল বিষয়টা হলো আমাদের যে সিদ্ধান্ত, তা জনগণকে জানিয়ে দেওয়া ও সচেতন করা এবং জনগণ যাতে সেটা মেনে চলে সে ব্যবস্থা করা। আমাদের পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবিসহ সবাই এক সঙ্গে কাজ করছে।