পেরু, যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের ২৯টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ল্যাম্বডা। মঙ্গলবার (৬ জুলাই) এক প্রতিবেদনে একথা জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া। আলফা, বিটা, গামা ও ডেল্টা ধরনের পর সম্প্রতি দক্ষিণ আমেরিকার দেশ পেরুতে প্রথম শনাক্ত করা হয় ভাইরাসের এই নতুন ধরনটি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) একটি সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ভাইরাসের নতুন ধরন ল্যাম্বডা নিজেকে এত দ্রুত বদলাচ্ছে যে, তা উত্তরোত্তর উদ্বেগ বৃদ্ধির কারণ হয়ে উঠছে। এক মানুষ থেকে অন্য মানুষে দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে বলেই এই রূপটি দ্রুত নিজেকে বদলে নিচ্ছে।
করোনায় সংক্রমণ ও মৃত্যুর হিসাব রাখা সংস্থা জিআইএসএআইডি’র বরাত দিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়া বলছে, ভারইরাসের এই ধরনটি ইতোমধ্যেই ২৯টি দেশে ছড়িয়েছে। এর বেশিরভাগ দেশই দক্ষিণ আমেরিকার। অবশ্য ভারতে এখনও এই ধরনে আক্রান্ত কোনো রোগী শনাক্ত হয়নি।
বিজ্ঞানের পরিভাষায়, করোনাভাইরাসের নতুন এই রূপটির নাম ‘সি.৩৭’। ভারতে প্রথম শনাক্ত হওয়া ডেল্টা ধরনের মতো ল্যাম্বডাকে ‘ভেরিয়্যান্ট অব কনসার্ন’ বা উদ্বেগজনক তালিকায় না রাখা হলেও এটি পেরুসহ দক্ষিণ আমেরিকার কয়েকটি দেশে ডেল্টার মতোই সংক্রমণ ছড়াতে দেখা গেছে। ডব্লিউএইচও আপাতত এই ধরনটিকে ‘ভেরিয়্যান্ট অব ইন্টারেস্ট’ ক্যাটাগরিতেই রেখেছে।
সম্প্রতি পেরুর ৮১ শতাংশ কোভিড রোগীর শরীরে করোনাভাইরাসের এই নতুন রূপের সংক্রমণ ঘটতে দেখা গেছে। এছাড়া দক্ষিণ আমেরিকার আরেক দেশ চিলির এক-তৃতীয়াংশ কোভিড রোগীরও সংক্রমণের কারণ ভাইরাসের এই ধরনটি।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে প্রথম নোভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। প্রথমে বলা হয়েছিল, উহান শহরের কেন্দ্রে অবস্থিত হুনান সি-ফুড মার্কেট থেকেই প্রথম করোনা সংক্রমণের ঘটনা ঘটে।
দেশটির সরকারি তথ্য অনুযায়ী, করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম যে ব্যক্তি মারা যান, তার ওই মার্কেটে নিয়মিত যাতায়াত ছিল। ৬১ বছর বয়স্ক ওই ব্যক্তি যখন মারা যান, তখনও এই রোগের নাম নির্দিষ্ট করা হয়নি। চীনের সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, ‘অপরিচিত ধরনের নিউমোনিয়ায়’ আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন তিনি।