পদ্মাসেতুর পরামর্শক নিয়োগে প্রাক-যোগ্যতা যাচাইয়ে অংশ নেওয়া নিউজিল্যান্ডের প্রতিষ্ঠান এইকম নিউজিল্যান্ড লিমিটেডের ৩ সাব কনসালট্যান্ট প্রতিষ্ঠানের পরিচালককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার সকাল দশটা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত এসিই কনসালট্যান্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. গোলাম মোস্তফা, ডিডিসি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক একেএম রফিক উদ্দিন ও এসএআরএম অ্যাসোসিয়েটস লিমিটেডের পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার সৈয়দ আফসার হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক।
দুদকের উপ-পরিচালক মীর জয়নুল আবেদীন শিবলি ও মির্জা জাহিদুল আলম তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
উল্লেখ্য, পদ্মাসেতুর ডিজাইন করে এইকম অ্যান্ড এজেডএল।
রোববার এসএনসি লাভালিনের তিন সাব কনসালট্যান্ট প্রতিষ্ঠান প্রকল্প প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহিদুল হাসান খান, বেটস্ কনসালটিং লিমিটেডের মহা-ব্যবস্থাপক নুরুল ইসলাম ও বিসিএল অ্যাসোসিয়েটস লিমিটেডের পরিচালক ড. এমএ আজিজকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
প্রসঙ্গত, পদ্মাসেতু প্রকল্পে ড. জামিলুর রেজা চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি মূল্যায়ন কমিটি পরামর্শক হিসেবে পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের নাম সুপারিশ করেছিলেন।
এর প্রথমটি ছিল এসএনসি লাভালিন। অন্যগুলো হলো- যুক্তরাজ্যের প্রতিষ্ঠান হালক্রো গ্রুপ ইউকে, নিউজিল্যান্ডের প্রতিষ্ঠান এইকম নিউজিল্যান্ড লিমিটেড, জাপানের ওরিয়েন্টাল কনসালট্যান্ট কোম্পানি লিমিটেড এবং যুক্তরাজ্য ও নেদারল্যান্ডসের জয়েন্ট ভেনচার কোম্পানি হাইপয়েন্ট রেলেন্ড।
এর মধ্যে এসএনসি লাভালিনকে সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে অনুমোদনের জন্য বিশ্বব্যাংকের কাছে পাঠানো হয়। এরপরই এ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে এবং বিশ্বব্যাংক ১২০ কোটি ডলার ঋণসহায়তা স্থগিত করে।
চলতি বছরের এপ্রিলে বিশ্বব্যাংক পরামর্শক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ তুললে এ নিয়ে দুদক তদন্ত শুরু করে।
দুদকের তদন্ত শেষ করার আগেই বিশ্বব্যাংক ২৯ জুন ঋণচুক্তি বাতিল করে। বিশ্বব্যাংক ঋণচুক্তি বাতিল করলেও এ বিষয়ে দুদকের অনুসন্ধান চলবে বলে জানিয়েছেন দুদক চেয়ারম্যান গোলাম রহমান।
পদ্মাসেতুর পরামর্শক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে দুদক এ পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী, জাতীয় সংসদের হুইপ নূরে আলম চৌধুরীর ভাই নিক্সন চৌধুরী এবং এসএনসি লাভালিনের বাংলাদেশ প্রতিনিধি জিয়াউল হককে।
এছাড়া সেতু বিভাগের তিন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী লিয়াকত আলী, সহকারী প্রকৌশলী আবুল কালাম আজাদ ও সহকারী প্রকৌশলী মো. গোলাম মর্তুজাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।