জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়: ৬৫০ শিক্ষক-কর্মচারীর নিয়োগ বাতিলে রুল

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়: ৬৫০ শিক্ষক-কর্মচারীর নিয়োগ বাতিলে রুল

কোনো প্রকার বিজ্ঞপ্তি ও নির্বাচনী বোর্ড ছাড়া ১৯৯২ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ দেওয়া ৬৫০ জন শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর নিয়োগ কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে সোমবার বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

আদালতে রিটটি দায়ের করেন বিএনপি দলীয় সাবেক সাংসদ এ কে এম ফজলুল হক মিলন।

আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী লুতফর রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সরদার রাশেদ জাহাঙ্গীর।

তিন সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষা সচিব, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, আচার্যের পক্ষে শিক্ষা সচিব, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ, রেজিস্ট্রার ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যানকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

লুতফর রহমান বলেন, ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আইনের ৩৩ ধারায় আছে- নিয়োগের সুপারিশের জন্য নির্বাচনী বোর্ড গঠন করতে হবে। কিন্তু নির্বাচনী বোর্ড গঠন না করে উপাচার্যের ক্ষমতাবলে ছয় মাসের জন্য নিয়োগ দিয়ে তাদের মেয়াদ বর্ধিত করা হয়েছে। সুতরাং এসব নিয়োগ অবৈধ। তাই নিয়োগ বাতিল চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়। আদালত রুল জারি করেছেন।”

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আইনের ৩৩ ধারায় (১) বলা হয়েছে, শিক্ষক ও কর্মকর্তা নিয়োগে সুপারিশ করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচনী বোর্ড থাকবে।

১২ (১০) ধারার রয়েছে, “ভাইস-চ্যান্সেলর অস্থায়ীভাবে এবং সাধারণতঃ অনধিক ছয় মাসের জন্য অধ্যাপক ব্যতীত বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ করিতে পারিবেন
এবং এই নিয়োগের বিষয়ে সিন্ডিকেটকে অবহিত করিবেন।”

প্রসঙ্গত, ১৯৯২ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত যথাক্রমে উপাচার্য ছিলেন- ড. এমএ বারী, এম আমিনুল ইসলাম ও দূর্গাদাস ভট্টাচার্য।

বাংলাদেশ