চাকরি জাতীয়করণ না হলে কঠোর আন্দোলন : বাপসা

চাকরি জাতীয়করণ না হলে কঠোর আন্দোলন : বাপসা

চাকরি জাতীয়করণ ও দ্বিতীয় শ্রেণির মর্যাদা দেওয়া না হলে কর্মবিরতীসহ কঠোর আন্দোলন হুমকি দিয়েছে বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ সেক্রেটারি সমিতি (বাপসা) সভাপতি সোহেলুর রহমান সোহেল। তিনি বলেন, আমরা ইউপি সচিবরা মানবেতর জীবন যাপন করছি। এভাবে জীবন চলতে পারে না।

সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাপসা আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচিতে তিনি এ কথা বলেন।

বাপসা সভাপতি আরো বলেন, ১৯৭৪ সালে ইউনিয়ন পরিষদ সচিবদের চাকরি জাতীয় পে-স্কেলের আওতায় এনে পর্যায়ক্রমে জাতীয় করণের ঘোষণা করেন সরকার।

কিন্তু এর পরবর্তী সরকারগুলো ইউনিয়ন পরিষদ সচিবদের সঙ্গে বিমাতা সুলভ আচরণ করে আসছে। আমরা বাধ্য হয়ে ১৯৯৮ সালে ঈদের দিনে জাতীয় ঈদগাহে স্ব-পরিবারে অবস্থান ধর্মঘটে গিয়েছিলাম। ওইদিন আমাদের ১৫ জনকে আটক করা হয়।

এরপর তৎকালীন সরকার আমাদের বেতন মন্ত্রণালয় থেকে প্রদেয় অংশ ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭৫ শতাংশ করে। তখন ঘোষণা দেওয়া হয়েছিলো পর্যায়ক্রমে শতভাগে উন্নীত করা হবে।

তিনি বলেন সরকার ইউনিয়ন পরিষদকে শক্তিশালী করছে। কিন্তু আমরা সারাদেশের ৪ হাজার ৫৩৯ জন ইউনিয়ন পরিষদ সচিব চরম মানবেতর দিন যাপন করছি। ৭৫ শতাংশ বেতন দেওয়া হয় মন্ত্রণালয় থেকে অবশিষ্ট ২৫ শতাংশ উপজেলা পরিষদের আয় থেকে দেওয়া হয়। যে কারণে কখনই যথা সময়ে বেতন পাইনা।

বেতনের জন্য তীর্থের কাকের মতো অপেক্ষা করতে হয়। অনেকটা জেলা প্রশাসকের মন মর্জির ওপর নির্ভর করে। পার্বত্য এলাকার ইউনিয়ন পরিষদের সচিবদের অবস্থা আরো করুন। এসব উপজেলায় হাট বাজার থেকে আয় নেই। সে কারণে তাদেরকে মাত্র ৭৫ শতাংশ বেতন দেওয়া হয়। এ ভাবে এক দেশে দুই আইন চলতে দেওয়া যায় না।

বাপসার সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। আমরা বাধ্য হয়ে আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করেছি। এর পরেও যদি আমাদের দাবি মেনে না নেওয়া হয় তাহলে ৩ সেপ্টেম্বর এই প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান ধর্মঘট পালন করা করা হবে।

তারপরেও সরকার আমাদের ন্যায্য দাবি মেনে না নিলে কঠোর আন্দোলন ছাড়া বিকল্প থাকবে না। আন্দোলন করেই দাবি আদায় করা হবে। তবে আমরা আশাবাদী বর্তমান সরকার আমাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেবেন।

তিনি বলেন, চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি তারিখে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী আমাদের বিষয়টি পরীক্ষা পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিলেও অদৃশ্য কারণে সেটিও ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।

যুগ্ম সম্পাদক মাসুদ কবীর বকসী তুহিনের পরিচালনায় আরো বক্তব্য রাখেন নির্বাহী সভাপতি ফরিদ আহমেদ চৌধুরী, শেখ হাবিবুর রহমান, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আশরাফ বাবু, সাবেক সভাপতি রেজাউল করিম তুহিন, প্রচার সম্পাদক আব্দুল লতিফ মোল্লাসহ কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতৃবৃন্দ।

এতে সারাদেশ থেকে দুই সহশ্স্রাধিক ইউনিয়ন পরিষদ সচিব অংশ নেন। মানববন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটিকে হাইকোর্টের সামনে পুলিশ আটকে দিলে ৫ সদস্যের একটি টিম প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গিয়ে স্মরকলিপি পৌছে দেয়।

বাংলাদেশ