একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় সিআইডি কর্মকর্তা আবু হেনা মো. ইউসুফকে দিনভর জেরা করেছেন সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুর আইনজীবীরা।
পিন্টুর পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন সাক্ষীকে জেরা করেন।
ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. শাহেদ নুর উদ্দিন জেরা রেকর্ড করেন।
পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডে কেন্দ্রীয় কারাগার সংলগ্ন এজলাসে এ জেরা গহণ করেন আদালত।
পিন্টুর পক্ষে জেরা অব্যাহত থাকা অবস্থায় আগামী ৫ ও ৬ আগস্ট পর্যন্ত জেরা মুলতবি করা হয়েছে।
শুনানিকালে রাষ্ট্রপক্ষে বিশেষ পিপি সৈয়দ রেজাউর রহমান, খোন্দকার আব্দুল মান্নান উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ৩৯ জন আসামির পক্ষে জেরা শেষ হয়। এদের মধ্যে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক আইজিপি মো. আশরাফুল হুদা, শহিদুল হক ও খোদা বক্স চৌধুরী এবং মামলাটির তিন তদন্ত কর্মকর্তা সাবেক বিশেষ পুলিশ সুপার রুহুল আমিন, সিআইডির সিনিয়র এএসপি মুন্সি আতিকুর রহমান ও এএসপি আব্দুর রশীদ রয়েছেন।
সাক্ষ্য গ্রহণকালে সাবেক মন্ত্রী জামায়াত নেতা আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, হুজি নেতা মুফতি আবদুল হান্নানসহ এ মামলায় কারাগারে আটক আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়।
অন্যদিকে জামিনে থাকা আসামি সাবেক আইজিপি মো. আশরাফুল হুদা, শহিদুল হক ও খোদা বক্স চৌধুরী ও মামলাটির তিন তদন্ত কর্মকর্তা সাবেক বিশেষ পুলিশ সুপার রুহুল আমিন, সিআইডির সিনিয়র এএসপি মুন্সি আতিকুর রহমান, এএসপি আব্দুর রশীদ ও সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার আরিফুল ইসলাম আদালতে হাজির হন।
গত ২৭ মে আবু হেনা মো. ইউসুফ আদালতে তার জবানবন্দি দেন।
শুনানিকালে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন বিশেষ পিপি সৈয়দ রেজাউর রহমান, খোন্দকার আব্দুল মান্নান প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের একুশে আগস্ট আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের জনসভায় সন্ত্রাসীরা ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা চালায়। হামলায় আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ও প্রেসিডেন্ট জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নির্মমভাবে নিহত হন। সাবেক বিরোধী দলীয় নেতা ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান। আহত হন শতাধিত নেতাকর্মী।
এ ঘটনায় মতিঝিল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফারুক হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল জলিল ও সাবের হোসেন চৌধুরী বাদী হয়ে মতিঝিল থানায় পৃথক ৩টি এজাহার দায়ের করেন।