বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে একসাথে কাজ করে যেতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।বৃহস্পতিবার চীনা কমিউনিস্ট পার্টির শত বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে ধারণ করা বক্তব্যে একথা বলেন তিনি। এছাড়া কোভিড মহামারিতে চীনের দেয়া ভ্যাকসিন এবং সিপিসি’র মেডিক্যাল সরঞ্জাম উপহারের জন্য ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কোভিড মহামারীতে চীনের দেয়া ভ্যাকসিন এবং সিপিসি’র দেয়া মেডিক্যাল সরঞ্জামাদি উপহারের জন্য আমি ধন্যবাদ জানাই। চীনা বাংলাদেশ সম্পর্ক উন্নয়নে এবং একে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে আমাদের একসাথে কাজ করে যেতে হবে। বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে পারস্পারিক শ্রদ্ধা, অভিন্ন মূল্যবোধ ও জাতীয় মৌলিক স্বার্থের ভিত্তিতে চমৎকার সৌহাদ্যপূর্ণ সম্পর্ক বিরাজ করছে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বিদ্যমান কৌশলগত অংশীদারিত্বকে একটি নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার জন্য নতুন নতুন পথ খুঁজছি। পাশাপাশি, আমরা শান্তি, নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের মতো আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক ইস্যু নিয়েও কাজ করছি। আমি এ ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী যে-আমাদের দু’দেশের মধ্যে বিদ্যমান আন্তরিক ও হৃদত্যপূর্ণ সম্পর্ক আগামী দিনগুলোতে আরো জোরদার হবে।
শেখ হাসিনা তাঁর অভিনন্দন বার্তায় বলেন, সুবিবেচনাপূর্ণ রাজনীতি ও দূরদর্শী নেতৃত্বের মাধ্যমে কমিউনিস্ট পার্টি অব চায়না সকলের জন্য সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে দেশটিকে একটি আধুনিক রাষ্ট্রে রূপান্তরিত করেছে। মাত্র অল্প কয়েক দশকের মধ্যেই চীন আশ্চর্যজনক ও উৎসাহ-ব্যঞ্জক অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি লাভ করেছে। দেশটি আজ উচ্চ-মানসম্মত শিক্ষার মাধ্যমে মহাকাশ থেকে ন্যানো প্রযুক্তি, রবোটিক্স থেকে অ্যাভিওনিক্স সব ক্ষেত্রে উন্নতি ঘটিয়েছে। এছাড়াও, দেশটি আজ বিশ্বমানের পণ্য ও সেবা প্রদান করছে।