করোনা ভাইরাসের প্রকোপ কোনোভাবেই কমছে না। অদৃশ্য এ ভাইরাসে দিন দিন বাড়ছে শনাক্তের সংখ্যা। এরই ধারাবাহিকতায় অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে নতুন করে ৫৫২ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) অস্তিত্ব মিলেছে।
এ নিয়ে চট্টগ্রামে মোট করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫৯ হাজার ৩১৬ জন। করোনা শনাক্তের হার ২৬.৭৭ শতাংশ। এর আগে গত ১২ এপ্রিল সর্বোচ্চ ৫৪১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল।
এছাড়াও গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্ত হয়ে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চট্টগ্রামে করোনায় মোট মারা গেছেন ৭০৬ জন।
আজ বৃহস্পতিবার (১ জুলাই ) সকালে চট্টগ্রাম জেলার করোনা সম্পর্কিত এ তথ্য নিশ্চিত করেন সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি।
জেলা সিভিল সার্জন বলেন, চট্টগ্রামের ১১টি ও কক্সবাজারে একটি ল্যাবে ২ হাজার ৬২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৫৫২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। করোনা শনাক্তের হার ২৬.৭৭ শতাংশ। শনাক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে চট্টগ্রাম নগরের ৩৯৬ জন এবং বিভিন্ন উপজেলার ১৫৬ জন রয়েছেন।
চট্টগ্রামে এ পর্যন্ত মোট করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫৯ হাজার ৩১৬ জন। মোট শনাক্তদের মধ্যে চট্টগ্রাম নগরীর ৪৬ হাজার ২৬৩ জন। আর জেলার বিভিন্ন উপজেলার ১৩ হাজার ৫৩ জন রয়েছেন।
গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে যে ৫ জন মারা গেছে তার মধ্যে তিনজন নগরের বাসিন্দা, আর দুইজন উপজেলার বাসিন্দা। করোনা আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রামে এ পর্যন্ত মোট ৭০৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৪৭৭ জন চট্টগ্রাম নগরের। আর বিভিন্ন উপজেলায় মারা গেছেন ২২৯ জন।
গত ২৪ ঘন্টায় উপজেলা পর্যায়ে যারা আক্রান্ত হয়েছেন এর মধ্যে সর্বোচ্চ হাটহাজারীর ৩৬ জন, সীতাকুণ্ডের ৩০ জন, মিরসরাইতে ২১ জন,রাউজানে ১৪ জন, ফটিকছড়িতে ১৩ জন, রাঙ্গুনিয়ায় ১২ জন, বোয়ালখালীতে ৮ জন, লোহাগাড়ায় ৭ জন, আনোয়ারায় ৫ জন, চন্দনাইশে ৪ জন,পটিয়ায় ৪ জন ও বাঁশখালীতে ২ জন রয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৪০ জন, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ৪১ জন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৬৫ জন, চট্টগ্রাম ভেটেনারি ও এনিম্যাল সাইন্স বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১৪০ জনের শরীরে করোনার জীবাণু পাওয়া গেছে।
এদিন কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ২৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২ জনের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে এবং চট্টগ্রামে পটিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এন্টিজেন টেস্টে ১০৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৪০ জনের দেহে করোনার জীবাণু পাওয়া গেছে।
এছাড়া শেভরন ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরিতে ৩৭ জন, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ১১ জন, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল ল্যাবে ১৫ জন, ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে ৫৫ জন, জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে (আরটিআরএল) ল্যাবে ১৮ জন ও ইপিক হেলথ কেয়ারে ৪২ জনের শরীরে করোনার অস্তিত্ব পাওয়া যায়।