স্বাস্থ্যমন্ত্রী সংসদে বলেন, ‘ডিসেম্বরের মধ্যে যে ১০ কোটি ভ্যাকসিন আসবে, তা দুই ডোজ হিসাব করে দেশের পাঁচ কোটি নাগরিককে প্রয়োগ করা সম্ভব হবে। বাকি ভ্যাকসিন এলে পর্যায়ক্রমে সেগুলোও সবাইকে প্রয়োগ করা হবে।’
ডিসেম্বরের মধ্যে ১০ কোটি ও ২০২২ সালের মধ্যে আরও ৭ কোটি করোনাভাইরাসের টিকা দেশের হাতে থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। বুধবার তিনি জাতীয় সংসদকে জানান, বাংলাদেশ নিকট ভবিষ্যতেই পেতে যাচ্ছে ১৭ কোটি টিকা।
ডিসেম্বরের মধ্যে দুই ডোজ হিসেবে পাঁচ কোটি মানুষকে টিকা দেয়া হবে।
জাতীয় সংসদে বাজেট অধিবেশনে সংসদ সদস্যদের দেয়া ছাঁটাই প্রস্তাবের ওপর বুধবার দেয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে বক্তব্য দেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে ভ্যাকসিন নিয়ে কোনো ধরনের সংকট থাকবে না। এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে দেশে আসবে ১০ কোটি ভ্যাকসিন। আরও ৭ কোটি ভ্যাকসিন আমরা আগামী বছর নাগাদ পেয়ে যাব।
‘ডিসেম্বরের মধ্যে যে ১০ কোটি ভ্যাকসিন আসবে, তা দুই ডোজ হিসাব করে দেশের পাঁচ কোটি নাগরিককে প্রয়োগ করা সম্ভব হবে। বাকি ভ্যাকসিন এলে পর্যায়ক্রমে সেগুলোও সবাইকে প্রয়োগ করা হবে।’
জাহিদ মালেক বলেন, ‘এটা হাতে পেলে তা দিয়ে ভ্যাকসিন নেয়ার উপযোগী সবাই ভ্যাকসিনের আওতায় চলে আসবেন।’
আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে দেশে আবারও টিকাদান কর্মসূচি শুরুর কথা জানিয়েছে সরকার।
চীনের সিনোফার্মের তৈরি উপহারের ১১ লাখ টিকা দিয়ে শুরু হচ্ছে টিকাদান। এরই মধ্যে চীন থেকে টিকা কেনার চুক্তি শেষ হয়েছে। আগামী সপ্তাহে চীনের সিনোফার্মের টিকা বাংলাদেশে এসে পৌঁছাবে। তার আগে উপহারের টিকায় টিকাদান কর্মসূচি শুরু করছে সরকার।
পাশাপাশি বাংলাদেশকে ফাইজারের এক লাখ টিকা উপহার দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। সেই টিকার প্রয়োগও শুরু করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এই টিকা মধ্যপ্রাচ্যে কাজের জন্য যাওয়া কর্মীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেয়ার কথা জানিয়েছে সরকার।
তার আগে দেশে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি টিকা দিয়ে গণটিকা কার্যক্রম শুরু করেছিল সরকার। ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে কেনা ৩ কোটি ৪০ লাখ ডোজের মধ্যে বাংলাদেশ পায় মাত্র ৭০ লাখ টিকা।
এর পাশাপাশি ভারত সরকার বাংলাদেশকে উপহার দেয় ৩৩ লাখ টিকা। যা দিয়ে টিকা কার্যক্রম শুরু করলেও সিরাম বাংলাদেশকে আর টিকা না দিলে টিকাদান বন্ধ হয়ে যায়।
অনেকেই প্রথম ডোজের পর আর দ্বিতীয় ডোজের টিকা পাননি। তাদের অগ্রাধিকার দিয়ে সিনোফার্মের টিকাদান শুরু হয়েছে।