আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি নিজেদের ব্যর্থতা এবং জনবিচ্ছিন্নতা আড়াল করতে নির্বাচন ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিএনপির রাজনীতি কথামালার আড়ালে বৈপরীত্যের প্রদর্শনী মাত্র।
আজ মঙ্গলবার (২৯ জুন) তার সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী একচ্ছত্র শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য রাষ্ট্রকাঠামো পরিবর্তন করে দিচ্ছে‑ বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, এটি একেবারেই কল্পিত, মনগড়া ও মুখরোচক, এর সাথে বাস্তবতার কোনো সম্পর্ক নেই।
তিনি বলেন, বিএনপিকে প্রতিদিন সরকারের বিরুদ্ধে কিছু না কিছু বলতেই হবে- এটি সেই ধারাবাহিকতারই অংশ।
রাষ্ট্র এবং সরকার চলে সুনির্দিষ্ট সাংবিধানিক কাঠামো ও বিধি-বিধানের আওতায় দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় বিরোধী দল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশীজন। বিএনপি মুখে রাষ্ট্রকাঠামো কিংবা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার কথা বললেও নিজেরাই নির্বাচন থেকে দূরে সরে যাচ্ছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রশ্ন রেখে বলেন, বিএনপি যদি নির্বাচনে না থাকে তাহলে গণতন্ত্র কীভাবে অর্থবহ হবে? উল্টো তারা গণতন্ত্রকে দুর্বল করতে নানামুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।
এর আগে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সভাকক্ষে শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
এ সময় তিনি বলেন, বর্ষা চলমান তাই অত্যন্ত সচেতনভাবে সড়ক মহাসড়কে মনিটরিং জোরদার করতে হবে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, সড়কের যেখানে ছোটখাটো গর্ত হবে সেখানে সাথে সাথে মেরামত করতে হবে, পাশাপাশি নতুন পাশ হওয়া প্রকল্পসহ বিভিন্ন প্রকল্পের দাপ্তরিক পরিকল্পনা ও প্রস্তুতিমূলক কাজগুলো এ সময়ে এগিয়ে নিতে হবে।
লকডাউন যদি শিথিল হয় এবং দূরপাল্লার বাস যদি চলে তা হলে আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে পশুবাহী যানবাহন চলাচলের জন্য সকল প্রস্তুতি নিয়ে রাখার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন মন্ত্রী।
সড়ক পরিবহন মন্ত্রী আবারও বিআরটিসিকে লাভের ধারায় ফিরিয়ে আনতে সংশ্লিষ্টের নির্দেশনা দিয়ে বলেন, গাড়িগুলো যেন সবদিক থেকে স্মার্ট থাকে সেদিকেও বিশেষ নজর দিতে হবে।